বিশ্বকাপ থেকে বিদায়, কবে দেশে ফিরছে শান্ত-লিটনরা
১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। তাদের সামনে সেমিফাইনালে ওঠারও ভালো সুযোগ ছিল। অবশ্য নিজেদের কোনো কৃতিত্বে নয়, অন্যদের ব্যর্থতায়। কিন্তু বাংলাদেশ সেই সুযোগ হেলায় হারিয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ রানের হার দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।
বিশ্বকাপ শেষে কবে দেশে ফিরবেন টাইগার ক্রিকেটাররা। বিশ্বস্ত সূত্রে ঢাকা পোস্ট নিশ্চিত হয়েছে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৮ জুন (শুক্রবার) সকাল ৮ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখবে ক্রিকেটাররা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে চলমান বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের পর ব্যাকফুটে থেকেই আসর শুরু করেছিল তারা।
গ্রুপপর্বের চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে সুপার এইটে খেলবে বাংলাদেশ—এমন আশা হয়তো করেননি টাইগারদের অন্ধ সমর্থকও। যুক্তরাষ্ট্রে মিরপুরের মতো পিচে বোলারদের কল্যানে সেটিই হয়েছে। তিন জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো সুপার এইট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
সুপার এইটে টানা দুই ম্যাচে বাজেভাবে হারের পর টাইগারদের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ জমিয়ে দেয় আফগানরা। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে সেমিতে খেলার সুবর্ণ সুযোগ এসে যায় বাংলাদেশের সামনেও। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের জয়েরও ভূমিকা ছিল। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তেইশ বিশ্বকাপ ফাইনালের বদলা নিয়েছে রোহিতরা। তাদের জয়ে সেমির দৌড়ে আশা বেঁচেছিল বাংলাদেশেরও।
আরও পড়ুন
তবে সুবর্ণ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশ্য শেষ চার নিশ্চিতের লক্ষ্যে শুরুতে ঠিকই আশা দেখিয়েছিলেন বোলাররা। মাত্র ১১৫ রানে রশিদ খানদের আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিতে যেতে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের।
কিন্তু ম্যাচের একটা সময়ে দলের ব্যাটারদের দেখে মনে হয়েছে পরের পর্বে যাওয়ার ইচ্ছাটাই যেন নেই কারও! কোনো রকমে ম্যাচটা জিতলেই যেন বেঁচেবর্তে যায়। ভাগ্য সাহসীদের পক্ষে, ভীড়ুদের নয়। ঝুঁকিপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়টাও পাওয়া হয়নি। সুপার এইট থেকে খালি হাতেই দেশে ফিরছে শান্তরা।
এসএইচ/এফআই