বাংলাদেশের খেলা দেখছিলেন দলবেঁধে, হতাশ মার্শ যা বললেন
ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল ভাগ্য নির্ভর করছিল বাংলাদেশের ওপর। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টিম টাইগার্সরা জিতলেই শেষ চারে চলে যেত অজিরা। ‘কাম অন বাংলাদেশ’ বলে লাল-সবুজের দলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ। পুরো দল মিলে বাংলাদেশের খেলা দেখছিলেন। টাইগারদের জয় দেখতে মরিয়া ছিলেন তারা। কিন্তু বাংলাদেশ আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়ায় হতাশ হয়েছেন মার্শ।
The Aussie skipper shares his reaction as the Afghan allrounder's sudden injury comes under scrutiny. Full story: cricket.com.au/news/4045015
Posted by cricket.com.au on Tuesday, June 25, 2024
এক ম্যাচের ওপর ঝুলছিল তিন দলের সেমিফাইনাল ভাগ্য। শেষ চারের লক্ষ্যে আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে শুরুটা ভালো করেছিলেন টাইগার বোলাররা। তাদের নৈপুণ্যে ১১৫ রানেই রশিদ খানদের আটকে রাখে বাংলাদেশ। সেমিতে যেতে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের। সেটা তো দূরের কথা, শেষ পর্যন্ত ম্যাচই জিততে পারেনি টিম টাইগার্স। বৃষ্টি আইনে ৮ রানের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হারে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ারও।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিচেল মার্শ বলেন, 'আমরা সবাই মিলে খেলা দেখেছি। এটা অবশ্যই একটা অসাধারণ ম্যাচ ছিল, তাই না? অনেকবার খেলার মোড় ঘুরেছে। আমরা সবাই হতাশ হয়ে পড়ি (যখন বাংলাদেশের শেষ উইকেট পড়ে গেল)। আমরা মরিয়া ছিলাম এই টুর্নামেন্টে চালিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আফগানিস্তান আমাদের হারিয়েছে, তারা বাংলাদেশকে হারিয়েছে এবং সেমিফাইনালে যাওয়ার যোগ্য।'
আরও বলেন, 'অবশ্যই আপনি এই টুর্নামেন্টে খেলে যেতে চান এবং আমাদের একমাত্র উপায় ছিল সেটি (বাংলাদেশের জেতা)। কিন্তু এটা আমাদের একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল এবং এর দায় শুধু আমাদের উপরই বর্তায়।'
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে চোটের অভিনয় করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন গুলবাদিন নাইব। বৃষ্টির আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচের শেষদিকে ঘটেছিল ঘটনাটি! ব্যাটিংয়ে থাকা বাংলাদেশ তখন ডিএলএস পদ্ধতিতে ২ রানে পিছিয়ে। বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখায় ডাগআউট থেকে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট সংকেত দিচ্ছিলেন, সময় নিতে। সংকেত দেখার পরপরই স্লিপে থাকা গুলবাদিন মাঠে শুয়ে গেলেন, যেন কিছুটা সময় নিতে চাইলেন এই পেস অলরাউন্ডার। সতীর্থদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়া এই পেসার পরে মাঠে নেমে স্বাভাবিকভাবে বল করেছেন, পেয়েছেন উইকেটও। জয়ের উদযাপনে দৌড়েছেন স্প্রিন্ট অ্যাথলেটদের মতো, লাফিয়ে উঠেছেন সতীর্থদের কাঁধে।
এই কাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে সমালোচনা করলেও দৃশ্যটি বেশ উপভোগ করেছেন মার্শ। তিনি বলছিলেন, 'হাসতে হাসতে আমার চোখে প্রায় পানি এসে যাচ্ছিল। দিনশেষে এটি ম্যাচে কোনো তাৎপর্য রাখেনি। আমরা এটা নিয়ে এখন হাসতে পারি এটা হাস্যকর ছিল। এটা অসাধারণ ছিল।'
এফআই