গোল বাতিলের হতাশায় ব্রাজিলের প্রথমার্ধ পার
কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচ। কোস্টারিকার বিপক্ষে শিরোপাপ্রত্যাশী ব্রাজিলের শুরুটা তাতে খুব একটা সুখকর হলো না। গোল বাতিলের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই প্রথমার্ধ পার করেছে সেলেসাওরা। দোরিভাল জুনিয়রের ব্রাজিল প্রথম ম্যাচটায় অবশ্য কিছুটা হতাশও করেছে। ৭৫ শতাংশ বল দখলে রাখলেও এদিন গোলমুখে সেই ক্ষুরধার ব্রাজিলকে দেখা যায়নি।
ইংলেউডের সোফি স্টেডিয়ামে ডি গ্রুপের নিজেদের প্রথম ম্যাচের শুরুটা ব্রাজিল করেছিল দাপটের সাথেই। আগের চার দেখাতেই কোস্টারিকাকে হারিয়েছিল ব্রাজিল। এই ম্যাচেই সেই দাপুটে ভাবটাই তারা ধরে রাখলো শুরু থেকে। এমনকি ধারাবাহিক আক্রমণের সুবাদে গোলটাও পেয়েছিল ৩১ মিনিটে এসে। কিন্তু সেই গোল অফসাইডে বাতিল হলে শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য অবস্থায় টানেলে ফিরতে হয় দুই দলকে।
৭ মিনিটেই রাফিনহার গোলমুখে প্রথম শট নেন। সেখান থেকেই বলতে গেলে শুরু। এরপর থেকেই কোস্টারিকার রক্ষ্মণে একের পর এক আক্রমণ করেই ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগো-লুকাস পাকেতারা। ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে এদিন দলকে নামিয়েছিলেন দোরিভাল জুনিয়র। আক্রমণে তাতে ব্রাজিলের ধার বেড়েছে অনেকটাই।
ডাবল পিভটে থাকা হোয়াও গোমেজ আর ব্রুনো গিমারেস মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের করেই রেখেছিলেন। ৭৫ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল প্রথমার্ধের পুরোটা জুড়ে। কিন্তু ব্রাজিলের গোলটাই এলো না অনেকটা সময় পর্যন্ত।
ব্রাজিলের হয়ে শেষপর্যন্ত ডেডলক ভাঙেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার মার্কিনিওস। ৩১ মিনিটে সেট পিস থেকে আসা কর্ণারে হেড করে বল জালে জড়ান তিনি। তবে এখানেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির বাগড়া। লম্বা রিভিউ শেষে জানানো হয় অফসাইডের সিদ্ধান্ত। 0-0 অবস্থায় ফিরে আসে ম্যাচ। প্রথমার্ধের বাকি সময়টায় ব্রাজিল আক্রমণ করে গেলেও সুফল পায়নি। উলটো একাধিকবার মেজাজ হারিয়েছেন ভিনিসিয়ুস-লুকাস পাকেতারা।
শেষ দিকে রদ্রিগোর দূরপাল্লার এক শট বারের অল্প ওপর দিয়ে গেলে অনেকটা হতাশা নিয়েই বিরতিতে যায় ৯ বারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা।
জেএ