২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারবে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড?
চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বড় চমকের নাম যুক্তরাষ্ট্র। আসরের সহ-আয়োজকরা পাকিস্তানের মতো হট ফেভারিটদের বিদায় করে পা রেখেছে সুপার এইটে। পাকিস্তানের মতো গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকেও। সুপার এইটে যেতে না পারায় পরের বিশ্বকাপে কি সরাসরি খেলতে পারবে তারা?
এবারের আসরে সুপার এইটে খেলা ৮ দল সরাসরি জায়গা পাবে পরের বিশ্বকাপে। একই সঙ্গে স্বাগতিক হিসেবে টিকিট পাচ্ছে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ শ্রীলঙ্কা এবারের আসরে সুপার এইটে না খেলতে পারলেও আগামী আসরে সরাসরি খেলবে।
সুপার এইটের আট আর স্বাগতিক দুই এই ১০ দলের পাশাপাশি র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে আরও দুই দল সরাসরি খেলবে। অর্থাৎ এবারের আসরে সুপার এইটে ওঠা দলগুলোর বাইরে যারা র্যাঙ্কিংয়ে ওপরের দিকে, তাদের মধ্যে প্রথম দুটি দল ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে পারবে। পাশাপাশি স্বাগতিক কোটায় টিকিট নিশ্চিত ভারত এরই মধ্যে সুপার এইট নিশ্চিত করায় র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে আরও একটি বাড়তি দল সুযোগ পাচ্ছে। অর্থাৎ মোট তিন দল র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে খেলবে।
বর্তমানে টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান ৬ নম্বরে, পাকিস্তান সাতে। এ ছাড়া সুপার এইট নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা ইংল্যান্ড আছে ৩ নম্বরে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে দল নিজেদের অবস্থান ধরে রাখলে ২০২৬ আসরে খেলা নিশ্চিত হবে দলগুলোর। ইংল্যান্ড যদি গ্রুপ পর্বের শেষ দিকের সমীকরণ মিলিয়ে সুপার এইটে ওঠে, তখন র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের পর তৃতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট পাবে আয়ারল্যান্ড, যারা এখন ১১ নম্বরে আছে।
স্বাগতিক হিসেবে দুই, সুপার এইটে সাত ও র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ৩ দল মিলিয়ে সরাসরি ২০২৬ আসরের টিকিট পাচ্ছে মোট ১২টি দল। বাকি আট দল আসবে আঞ্চলিক বাছাই থেকে। এর মধ্যে আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপ থেকে দুটি করে ৬টি, আমেরিকা ও পূর্ব–এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে একটি করে দুটি দল বিশ্বকাপে সুযোগ পাবে।
এইচজেএস