এরাসমাস ৩৬, নামিবিয়া ৭২
রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ চলল নামিবিয়ার ওপর। অধিনায়ক গেরহাল্ড এরাসমাস একা চালিয়ে গেলেন লড়াই। সঙ্গী হিসেবে কাউকেই পাননি পুরোটা সময় জুড়ে। পুরো দল যখন অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইনআপের সামনে খাবি খেয়েছে, তখন নামিবিয়া অধিনায়ক খেলেলেন একা হাতেই। ৪৩ বলে ৪ চার এবং ১ ছক্কা হাঁকিয়ে করেছেন ৩৬ রান। নবম উইকেটের যখন পতন হয়, তখন দলীয় সংগ্রহের অর্ধেকটাই ছিল এরাসমাসের।
শেষ উইকেটে নামিবিয়া আর কোনো রানই যোগ করতে পারেনি। ৭২ রানেই থামে তাদের ইনিংস। অ্যাডাম জাম্পার ৪ আর জশ হ্যাজেলউড-মার্কাস স্টয়নিসের জোড়া উইকেট শিকারের দিনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে রীতিমত নাস্তানাবুদ আফ্রিকান দেশটি। পুরো দলের হয়ে এদিন এরাসমাসের বাইরে ডাবল ডিজিটে গিয়েছেন কেবল ওপেনার মিচেল ভ্যান লিনগেন। ১০ বলে করেছেন ১০ রান।
শুরুর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন প্যাট কামিন্স এবং জশ হ্যাজেলউড। হ্যাজেলউডের শিকার লিনগেন এবং নিকোলাস ডেভিস। আর জেই ফ্রাইলিংকে ফিরিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ১৫ রানেই নেই তিন উইকেট। নামিবিয়ার বিপর্যয়ের আভাস মিলেছিল তখনই। এরপরই তাতে যোগ দেন অ্যাডাম জাম্পা। নাথান এলিস এক উইকেট নিয়েছেন বটে, তবে জাম্পা একাই নাস্তানাবুদ করেছেন নামিবিয়ার মিডল অর্ডার।
জেন গ্রিন, ডেভিড উইসা আর রুবেন ট্রাম্পেলম্যানকে ফেরান এই লেগি। নামিবিয়ার বড় স্কোরের আশা কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায়। উইসা আর ট্রাম্পেলম্যান ছিলেন বড় ভরসা। তাদের কাউকেই দাঁড়াতে দেননি। তবে এদিক বিশেষভাবে প্রশংসার যোগ্য অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং। পুরো মাঠেই একের পর এক দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন। ৭টি ক্যাচ নিয়েছেন আজ তারা।
নবম উইকেটে এরাসমাস আর ব্রাসেল মিলে যোগ করেছেন ২৯ রান। এটাই নামিবিয়ার স্কোর টেনে নিয়ে গেল ৭২ পর্যন্ত। যদিও তাতে ব্রাসেলের অবদান মোটে ২ রান।
জেএ