বিশ্বকাপজয়ী অজি অধিনায়কের চোখে ফেবারিট যারা
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একদিন পরই পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ ওয়ার্মআপ ম্যাচও হয়ে গেছে। শেষদিন (শনিবার) ওয়ার্মআপ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা নিজেদের মতো করে বিশ্বকাপের জন্য ফেবারিট দলের নাম ঘোষণা দিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়াকে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও জানালেন সম্ভাব্য ফেবারিট দল কোনটি।
তার মতে, ভারতই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছে এবং তারাই সবচেয়ে ফেবারিট। সর্বশেষ আইপিএল দিয়ে নিজেদের প্রস্তুতি সেরেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এ ছাড়া বছরজুড়ে তাদের ব্যস্ত সূচির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ক্লার্ক তাদের নিয়ে বাজি ধরেছেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন ভারতই ফেবারিট, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাবেক এই অজি তারকা।
ক্লার্ক বলেন, ‘আমি মনে করি এই বিশ্বকাপে ভারতই ফেবারিট, কারণ তারা অনেক বেশি ক্রিকেট (ম্যাচ) খেলেছে, যা আমি আগেও বলেছি। তাদের প্রস্তুতি দুর্দান্ত। ক্যারিবীয় দ্বীপ ও আমেরিকার কন্ডিশন ভিন্ন, তবে এর সঙ্গে ভারতের মিল রয়েছে। যাকে কাজে লাগাতে পারেন দেশটির ক্রিকেটাররা।’
ভারতের স্কোয়াডে চারজন স্পিনার রয়েছেন। যাকে বিশ্বকাপে দলটির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং একইসঙ্গে কার্যকরী বলেও মনে করছেন ক্লার্ক, ‘ভারত যে স্কোয়াড বেছে নিয়েছে তাতে ঝুঁকি আছে, কারণ তাদের বিশ্বকাপের দলটি বেশ স্পিননির্ভর। এখানকার কন্ডিশন অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বেশ ভিন্ন। ক্যারিবীয় অঞ্চলে খেলার যে অভিজ্ঞতা আছে, সে অনুসারে বলতে পারি স্পিনকে যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, এখানে সাফল্য পাওয়ার সুযোগ বেশি। তাই তো ভারত বিশ্বকাপ জয়ের পথে আমাদের (অস্ট্রেলিয়া) জন্য সবচেয়ে বড় বাধা।’
ইতোমধ্যে ভারতীয় দল যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুশীলন শুরু করেছে। সর্বশেষ আইপিএলের ফাইনালে ছিল না তাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের কেউ। ফলে বিষয়টি আগেভাগেই তাদের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা করে দিয়েছে বলে মত ক্লার্কের। কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের লড়াইয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা। দুই দলে কেবল বিশ্বকাপে ভারতের রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে থাকা রিঙ্কু সিং ছিলেন, ফলে বাকিরা টানা খেলার পর যথেষ্ট বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন
এ নিয়ে সাবেক অজি অধিনায়ক বলেন, ‘যখন আপনি প্রস্তুতির প্রসঙ্গ আনবেন, দেখুন আইপিএল ফাইনালে মজার বিষয় ঘটেছে। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলের তিনজন থাকলেও, ভারতের কেউ ছিল না। আর সেখানে তাদের অনুপস্থিতি ভারতের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে এসেছে। এর মাধ্যমে তারা পুরো দলকে নিউইয়র্কে একসঙ্গে পেয়েছে।’ যদিও সবার শেষে যোগ দিচ্ছেন বিরাট কোহলি, এ ছাড়া হার্দিক পান্ডিয়াও মূল দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলতে যাননি। যোগ দিয়েছেন পরে।
২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এবারের বিশ্বকাপে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত পাকিস্তান পড়েছে একই গ্রুপ ‘এ’তে। গ্রুপটিতে তাদের বাকি তিন সঙ্গী আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।
এএইচএস