বিদায় এড়ানোর ম্যাচে বেঙ্গালুরুর লড়াকু পুঁজি
রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্লে-অফে আসার গল্পটাই ছিল অন্যরকম। প্রথম ৮ ম্যাচে ৭ হারের পর তাদের বিদায় ধরে নিয়েছিল অনেকেই। কিন্তু সেখান থেকেই যেন ঘুরে দাঁড়াল কোহলি-ডু প্লেসিসরা। পরের ৬ ম্যাচ জিতে চলে এসেছে প্লে-অফের মঞ্চে। তবে এখানেও তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে হার এড়ানোর ম্যাচ ‘এলিমিনেটরে’।
রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে বিদায় এড়ানোর ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছে বেঙ্গালুরু। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্যাটিং ইউনিটের সম্মিলিত চেষ্টা ১৭২ রানের সংগ্রহ পেয়েছে তারা। বিরাট কোহলির ৩৩, রজত পতিদারের ৩৪ আর মহিপাল লোমরোরের ৩২ বেঙ্গালুরুকে দিয়েছে লড়াই করার রসদ।
আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই খাবি খেতে হয়েছে বেঙ্গালুরুর বিরাট কোহলিকে। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারেই ফিরে যেতে পারতেন কোহলি। তবে সেটা হয়নি ভাগ্যগুণে। ফাফ ডু প্লেসি শুরু করেছিলেন আক্রমণাত্মক খেলার। তবে বোল্টই শেষ পর্যন্ত হাসলেন শেষ হাসি। ৫ম ওভারে ডু প্লেসিকে ফেরান এই কিউই বোলার। বাউন্ডারি লাইনে দারুণ এক ক্যাচ নেন রভম্যান পাওয়েল।
বিরাট কোহলি পাওয়ারপ্লে পার করেছেন দেখেশুনে। ক্যামেরন গ্রিনও ছিলেন আগ্রাসী। তবে রাজস্থানের বোলাররা বাড়তে দেননি কাউকেই। আগে ফিরেছেন কোহলি। ৫৪ রানে চাহালের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। এরপরেই গ্রিন উপহার দিয়েছেন কার্যকরী এক ইনিংস। রজত পরিদার নিজেও খেলতে চেয়েছেন বড় ইনিংস। দুজনের ৪১ রানের জুটি বেঙ্গালুরুকে বড় স্বপ্নই দেখাচ্ছিল।
১৩তম ওভারে এসে তাতে ধাক্কা দেন অভিজ্ঞ রবিচন্দন অশ্বিন। পরপর বলে ফেরান গ্রিন এবং ম্যাক্সওয়েলকে। দুজনের বিদায়ে বেঙ্গালুরুর বড় রানের আশা অনেকটাই মিলিয়ে যায়। দীনেশ কার্তিকও প্রথম বলেই ফিরতেন। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত রিভিউ নিয়ে টিকে যান তিনি।
তাতে বেঙ্গালুরু সুফলও পেয়েছে। পতিদারকে সঙ্গ দিয়েছেন। তবে এদের কেউই নিজের স্কোর বাড়াতে পারেননি সেই অর্থে। পতিদারের পর লোমরোর নিজেও ফেরেন ৩০ এর ঘরে। শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু থেমেছে ১৭২ রানে।
জেএ