কলকাতার ফাইনালে ওঠার ম্যাচে আইয়ারের একাধিক রেকর্ড
সানরাইজার্স হায়দরবাদকে উড়িয়ে দিয়ে আইপিএলের সপ্তদশ আসরের ফাইনালে উঠে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মিচেল স্টার্ক ও বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং তোপে মূলত নিজেদের আগ্রাসী রূপ পুরোটা দেখাতে পারেনি প্যাট কামিন্সের দলটি। যে কারণে তারা মাত্র ১৫৯ রানেই গুটিয়ে যায়। বিপরীতে কলকাতা অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার মিলে সেই রান টপকে যান ৩৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই। এদিন অধিনায়ক আইয়ার একাধিক রেকর্ড গড়েছেন।
আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম কোনো অধিনায়ক হিসেবে তিনি ফাইনালে দুই দলকে নেতৃত্বে দিতে যাচ্ছেন। এমন নজির পাঁচটি করে শিরোপা জেতা মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মা কিংবা অন্য কোনো অধিনায়ক দেখাতে পারেননি। এযদিওখনও অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জেতা হয়নি আইয়ারের। এর আগে ২০২০ আসরে তার নেতৃত্বে আইপিএলের ফাইনালে উঠেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরে তাদের শিরোপা-স্বপ্ন ভেঙে যায়। এবার কেকেআরকে ফাইনালে তুললেন আইয়ার।
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের দলটিকে এবার তিনি আইপিএল জেতাতে পারবেন কি না, তার উত্তর মিলবে আগামী ২৬ মে। সেদিন ধোনিদের ‘হোম গ্রাউন্ড’ চেন্নাইয়ে আইপিএলে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ধোনি আইপিএলে চেন্নাই ছাড়া পুনে সুপার জায়ান্টসকেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে পুনেকে তার ফাইনাল তোলা হয়নি।
— Cricbuzz (@cricbuzz) May 22, 2024
ইতোমধ্যে অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলের প্লে-অফে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার তালিকায় চার নম্বরে উঠে এসেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। এই কীর্তিতে তিনি টপকে গেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে। আইপিএলের প্লে-অফে সর্বাধিক ১৭টি ম্যাচ জিতেছেন ধোনি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন রোহিত শর্মা (১১টি ম্যাচ)। তিনে আছেন গৌতম গম্ভীর (পাঁচটি ম্যাচ)। এরপর অবস্থান আইয়ারের।
আরও পড়ুন
এ ছাড়া ব্যাট হাতেও রেকর্ড করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। কেকেআরের হয়ে আইপিএলের প্লে-অফে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের তালিকায় দু’নম্বরে উঠে এসেছে দুই আইয়ারের জুটি। গতকাল ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে অপরাজিত ৯৭ রান যোগ করেন শ্রেয়াস। সামনে আছে শুধুমাত্র জ্যাক কালিস এবং মানবিন্দর বিসলার ১৩৬ রানের জুটি। ২০১২ আইপিএলের ফাইনালে তারা সেই রানটা তুলেছিলেন।
আইপিএলের প্লে-অফে রান তাড়ার করে জয়ের পথে অপরাজিত অর্ধশতরান করার তালিকায়ও নাম তুলেছেন শ্রেয়াস। এতদিন সেই রেকর্ড ছিল শুধুমাত্র ডেভিড ওয়ার্নারের দখলে। ২০১৬ সালে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৩ রান করেছিলেন। মঙ্গলবার শ্রেয়াস অপরাজিত ৫৮ রান (২৪ বল) করেন। এ ছাড়া অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে প্লে–অফে সর্বোচ্চ দুটি ফিফটি করেছেন আইয়ার। তার আগে ওয়ার্নার ছাড়াও প্লে–অফে দুটি করে হাফসেঞ্চুরি করেছেন ধোনি ও রোহিত।
এএইচএস