ফাইনালের রেফারি নিয়ে মোহামেডানের আপত্তি
আগামী ২২ মে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মোহামেডান-বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি হবে। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব গতকাল বাফুফেতে রেফারিং নিয়ে চিঠি দিয়েছে।
মোহামেডান ক্লাবের ম্যানেজার সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব বলেন,‘আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে গতকাল ফেডারেশনে রেফারিং সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আমরা সুষ্ঠ ও সুন্দর ফাইনাল উপলক্ষ্যে নিরপেক্ষ রেফারিং চেয়েছি।’ সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ রেফারিংয়ের স্বার্থে মোহামেডান কিংসের বিপক্ষে ফাইনালে পাঁচজন রেফারির নাম উল্লেখ করেছেন। এদের ফাইনালে ম্যাচ পরিচালনা না করার অনুরোধ করেছে ফেডারেশনের কাছে।
ফেডারেশন কাপ ফাইনালের আগে মোহামেডান গত বছরও রেফারিং নিয়ে প্রতিবাদী অবস্থান ছিল। মোহামেডানের সমর্থক গোষ্ঠী আবাহনীর বিপক্ষে ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলন করেছিল। মোহামেডানের সমর্থকরা ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে চিঠিও দিয়েছিল। মোহামেডানের ক্লাব কর্মকর্তারা এর পেছনে থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তখন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে এবার সরাসরি ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ ফিরোজ রশীদ স্বাক্ষরিত চিঠি ফেডারেশনে সাধারণ সম্পাদক, রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।
চলতি মৌসুমে শীর্ষ ক্লাবগুলোর রেফারি নিয়ে আপত্তি চলছেই। বসুন্ধরা কিংস কয়েকজন রেফারির নাম দিয়ে ফেডারেশনে চিঠি দিয়েছিল তাদের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব না দিতে। ঢাকা আবাহনীও এরকম একটি চিঠি দিয়েছিল। এবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালের আগে মোহামেডান পাঁচজন রেফারি নিয়ে আপত্তি দিয়েছে। বসুন্ধরা কিংস-মোহামেডান উভয়ের আপত্তিতের মধ্যে পড়েছেন প্রায় দশজন রেফারি। দুই ক্লাবের আপত্তির মধ্যে ফেডারেশন ফাইনালে কাদের ওপর রেফারির ভার দেয় সেটাই দেখার বিষয়।
বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচে রেফারিং নিয়ে আপত্তি ও অভিযোগ উঠে প্রায়ই। বিশেষ করে বসুন্ধরা কিংসের বিদেশি ফুটবলাররা প্রতিপক্ষকে গলা চেপে ধরা, আর্মব্যান্ড ছুড়ে ফেলার ঘটনায় রেফারি কার্ড প্রদান না করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল কিংস-বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বহীন ম্যাচেও রেফারিং ত্রুটি ধরা পড়েছে ফুটবলসংশ্লিষ্টদের চোখে।
বিশেষ করে গতকাল তিন বার ড্রপ বল হওয়ার ঘটনা সৃষ্টি হলেও রেফারি জিএম চৌধুরী নয়ন প্রতিবারই এড়িয়ে গেছেন। ৭১ মিনিটে বসুন্ধরা কিংসের দ্বিতীয় গোলের সময় পুলিশের ফুটবলাররা আপত্তি তুলেছিল রেফারির গায়ে লেগে বল আক্রমণ অব্যাহত থেকে গোল হওয়ায়। তবে সেই প্রতিবাদ অবশ্য টেকেনি।
এজেড/