‘প্রিন্স বাংলাদেশের, আবার আমেরিকারও’
আশি-নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ দলের বোলিং বিভাগের অন্যতম প্রধান ভরসার নাম ছিলেন গোলাম নওশের প্রিন্স। ছিলেন জাতীয় দলের নির্বাচকও। ২০০৭ সাল থেকে প্রিন্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সাবেক এই জাতীয় ক্রিকেটার যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের অপারেশন্স কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করছেন গত দুই বছরেরও কিছু বেশি সময়। বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সিরিজ খেলবে।
আসন্ন সিরিজ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আমেরিকা ও বাংলাদেশের ক্রিকেটসহ ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে সুদূর হিউস্টন থেকে মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়েরকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রিন্স।
বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। আপনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট অপারেশন্সের সদস্য। দুই দলের প্রেক্ষাপটে এই সিরিজটি আপনার দৃষ্টিতে কেমন হতে পারে?
প্রিন্স : বাংলাদেশ হিউস্টনে আসছে। আমিও এখানে থাকি। বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি টেস্ট প্লেয়িং নেশনের বিপক্ষে একটি সিরিজ খেলতে চেয়েছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার শুরু থেকেই আমি অবগত। বাংলাদেশের জন্যও এটি দারুণ সুযোগ। কারণ বিশ্বকাপের আগে আবহাওয়া ও উইকেটসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে সম্যক ধারণা নেওয়া যাবে। ফলে দুই দলের জন্যই এটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ।
আরও পড়ুন
১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আপনি প্রথম বল করেছিলেন এবং প্রথম ম্যাচে আপনিই একমাত্র নট-আউট ব্যাটমস্যান। এই দুটি বিষয় আর কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। সময়ের বিবর্তনে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজখানিকটা আপনার পেশাদারিত্ব ও আবেগের একটা দ্বান্দ্বিক লড়াইও কি না?
প্রিন্স : অনেকটা যেন বউ-শাশুড়ির সম্পর্কের মতো পরিস্থিতি। আমি অবশ্যই বাংলাদেশের প্রিন্স। আমি দেশের জন্য খেলেছি এবং দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গেও জড়িত ছিলাম। এটা আমৃত্যু পরিচয়। এখন মার্কিন ক্রিকেটের সঙ্গেও আছি, সেটাও সত্যি এবং বাস্তব। যেহেতু এখানে আছি আমার প্রাধান্য থাকবে বাংলাদেশ টেস্ট প্লেয়িং দেশ হিসেবে যে ফ্যাসিলিটিজ প্রাপ্য সেগুলো নিশ্চিত করা। সফরকারী দল যেন একটা সুন্দর আবহের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রবেশ করতে পারে। পাশাপাশি স্বাগতিকদের প্রস্তুতিও যেন ভালো হয়। প্রিন্স অবশ্যই বাংলাদেশের, আবার আমেরিকারও।
এই সিরিজটি কেমন হতে পারে?
প্রিন্স : টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুব কঠিন। যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে, আবার একপেশেও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা ভালো দলই। অধিনায়কদের স্ট্রাইকরেট নিয়ে একটি প্রতিবেদন হয়েছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়কের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক। যুক্তরাষ্ট্রের এই দলে নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকানও একজন আছে। একজন পেসারের গতি প্রায় ১৪০। ফলে যুক্তরাষ্ট্র যে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সেটা বলাই যায়।
মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের ক্রিকেট দল প্রবাসী নির্ভর। যুক্তরাষ্ট্রও অনেকটা তাই। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট কাঠামো ও চর্চা কেমন?
প্রিন্স : আমেরিকা হচ্ছে ল্যান্ড অফ ইমিগ্রেন্টস। এখানে অনেক দেশের মানুষের বসবাস। যুক্তরাষ্ট্রে এখন স্কুল ক্রিকেটের চর্চা বাড়ছে। অনেক স্কুল ক্রিকেট হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। স্কুল ক্রিকেটের মাধ্যমে ভবিষ্যত মেধাবী ক্রিকেটার খুঁজে বের করা হচ্ছে। আমেরিকানরা কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী, কোয়ান্টিটিতে নয়। সাঁতারসহ অনেক ডিসিপ্লিনে তারা বিশ্বের সেরা মূলত সেই কোয়ালিটির জোরেই। ক্রিকেটেও তারা কোয়ালিটি অর্জনের পথে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ভারত-পাকিস্তানের প্রবাসী বাচ্চারা একটু বেশি আসছে ক্রিকেটে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের কম। এখানে বাংলাদেশি অভিভাবকরা সন্তানদের সেভাবে পেশাদার ক্রিকেটার বানাতে চায় না।
অবকাঠামো, জনপ্রিয়তা ও নানা মানদণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট পিছিয়ে। এমন একটি দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কেমন জমবে?
প্রিন্স : সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই অস্ট্রেলিয়ায় তো ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা নয়। সেখানেও বিশ্বকাপ হয়েছে এবং দর্শকে পরিপূর্ণ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রেও বিশ্বকাপ বেশ উপভোগ্যই হবে। এখানে অনেক প্রবাসী রয়েছেন। যারা ক্রিকেটের খুবই ভক্ত। অনেক ম্যাচের টিকিট ইতোমধ্যে প্রায় সব বিক্রিত।
ক্রিকেটের অন্যতম অনুষঙ্গ উইকেট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইকেট কেমন হয় এ নিয়ে অনেক দলের মধ্যেই খানিকটা সংশয় রয়েছে। ওই দেশের উইকেট নিয়ে আপনার ধারণা কি?
প্রিন্স : এখানে মেজর লিগের টুর্নামেন্টে অনেক রান হয়। ২০০ রানও হয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। বিশ্বকাপের উইকেট তো আইসিসির তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে। ভালো উইকেটই হওয়ার কথা। পার্থ, অকল্যান্ডেও সম্ভবত ড্রপিং উইকেটে খেলা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও আইসিসির সহযোগী সদস্য। সেই হিসেবে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির কাজ কেমন?
প্রিন্স : ক্রিকেট অপারেশন্সে পাঁচ জনের কমিটি। গত কমিটিতে যারা ছিলেন এর মধ্যে আমিই শুধু আবারও এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছি। ক্রিকেট সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা আমাদের এই কমিটিই করে। জাতীয় দলের কোচ, নির্বাচক নিয়োগ থেকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত আমাদের কমিটি থেকেই হয়। আমাদের প্রতিনিয়ত সভা হয় এবং পাঁচ জনের কমিটি হলেও অনেক সিদ্ধান্তই হয় ভোটাভুটির ভিত্তিতে। চেয়ারম্যানের মতামতই শেষ কথা নয়, পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনের মত যে দিকে সেটাই আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত।
সহযোগী দেশ হলেও সুন্দর চর্চা। সেখানে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাসপ্রাপ্ত দেশ, এরপরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় বোর্ড সভা ছাড়াই আর সেখানে স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা তো আরও অনিয়মিত। এজন্য গণমাধ্যমে মাঝে-মধ্যে দুই একজন পরিচালক আবার উষ্মাও প্রকাশ করেন।
প্রিন্স : আমি অনেকদিন থেকেই দেশের বাইরে। তাই বতর্মান বোর্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ধারণা নেই। তবে সাধারণ দৃষ্টিতে যেকোনো কমিটির সভা নিয়মিত হওয়া উচিৎ এবং সেখানে সকলের মতামতের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত আসাটাই কাম্য।
আপনি বেশ কয়েক বছর জাতীয় দলের নির্বাচক ছিলেন। আপনাদের সময়ের চেয়ে এখন তো দল নির্বাচন অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। একটু এদিক-ওদিক হলেই বিস্তর সমালোচনা ও ট্রল। বতর্মান বিশ্বকাপ দল নির্বাচন নিয়ে আপনার মতামত কি ?
প্রিন্স : ২০০৭ বিশ্বকাপে আমরা আগের বিশ্বকাপের অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটকে বাদ দিয়েছিলাম। তাকে বাদ দিয়ে মুশফিকুর রহিমকে সুযোগ দিই। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ওই বিশ্বকাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায়। ভালোই খেলেছিল। নির্বাচক যারাই হন তারা ক্রিকেটটা অন্তত বোঝেন এবং দায়িত্ববোধও জানেন। দল নির্বাচনের পরপরই সমালোচনা করাটা সমীচীন নয়। এতে নির্বাচক ও দল উভয়ের ওপরই বাড়তি চাপ পড়ে। দল খারাপ খেললে বা খেলোয়াড়রা ব্যর্থ হলে তখন অবশ্যই সমালোচনা গ্রহণযোগ্য।
বিসিবির বর্তমান প্রধান নির্বাচক লিপু (গাজী আশরাফ) ভাই বাংলাদেশের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা মস্তিষ্ক। রাজ্জাক ও হান্নান দুই জনই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলেছে অনেকদিন এবং দুই জনই নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। উইকেট, প্রতিপক্ষ, ম্যাচুরিটি ও অধিনায়ক-কোচের মতামতসহ নানা বিষয় ভেবে দল নির্বাচন করতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ দল ভালোই হয়েছে বলব। দল নির্বাচন এমন একটি বিষয় সবাই কখনও সন্তুষ্ট হবে না।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজে পেশাদারিত্ব ও আবেগের একটা দ্বান্দ্বিক লড়াইয়ের কথা স্বীকার করে প্রিন্স বলেন, ‘এটা অনেকটা যেন বউ-শাশুড়ির সম্পর্কের মতো পরিস্থিতি। যেহেতু এখানে আছি আমার প্রাধান্য থাকবে বাংলাদেশ টেস্ট প্লেয়িং দেশ হিসেবে যে ফ্যাসিলিটিজ প্রাপ্য সেগুলো নিশ্চিত করা। সফরকারী দল যেন একটা সুন্দর আবহের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রবেশ করতে পারে। পাশাপাশি স্বাগতিকদের প্রস্তুতিও যেন ভালো হয়। প্রিন্স অবশ্যই বাংলাদেশের, আবার আমেরিকারও।’
আপনার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বেশ সংক্ষিপ্ত হলেও অনেকে দেশের অন্যতম সেরা পেসারের তালিকায় আপনাকে রাখেন। বাংলাদেশের বর্তমান পেসারদের সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
প্রিন্স : আসলে ভিন্ন সময়ের সঙ্গে তুলনা করা খুব কঠিন। আমি আট বছরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি মাত্র নয়টি। সেখানে এক বছরেই এখন ২০টির বেশি ওয়ানডে খেলার সুযোগ রয়েছে। আমরা অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে খেলেছি। জালাল আহমেদ চৌধুরি, আলতাফ ভাই, ওসমান ভাইয়ের মতো কোচরা নিঃস্বার্থভাবে আমাদের খেলা শিখিয়েছেন ও ভুল শুধরে দিতেন। যতটুকু খেলেছি বা শিখেছি তাদের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে এখন তাসকিন-মুস্তাফিজরা ভালো করছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তাদের বেশ কদর রয়েছে।
আরও পড়ুন
আমার সব সময় চেষ্টা ছিল পড়াশোনা এবং খেলাধুলা দুই জায়গাতেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাওয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি আবার জাতীয় দলেও খেলেছি। দুই জায়গাতেই আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। খেলোয়াড়ী জীবনে ভোরে উঠতাম। এখনও সেই অভ্যাস রয়েছে। আমেরিকাতেও সেই ভোর সাড়ে ৫টায় উঠে যাই।
আপনার সময়ে ছিলেন সেরা ক্রিকেটারদের একজন। অবসর নেয়ার পরও ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলেন অনেকদিন। ক্রিকেটসহ অন্য খেলায় আপনার অনেক জুনিয়র জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছে। আপনি এখনও পাননি, অতৃপ্তি রয়েছে কি?
প্রিন্স : একদম নয়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লু প্রত্যাখ্যান করেছি এটা কয়েক বছর আগে, এ নিয়ে আপনার প্রতিবেদনই রয়েছে। কোনো কিছু পেতেই হবে এমন কোনো মানসিকতা আমার নেই। এত দূর দেশে রয়েছি এই শহরে আমাকে প্রায় সবাই চেনে ‘কোচ গোলাম’ এক নামে। এখানে আমি একটা ক্লাবে কোচিংও করাই। অনেকে আমাকে পায়ে হাত দিয়ে সালামও করে। এর চেয়ে সম্মান আর কি হতে পারে।
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক শহিদুর রহমান চৌধুরি সান্টু আপনার শহরেই থাকেন। আমেরিকা, কানাডা এবং ইংল্যান্ডেও অনেক কিংবদন্তি ও তারকা ক্রীড়াবিদ রয়েছেন নানা খেলায়। অন্যদের মতো আপনারও প্রবাস জীবন বেছে নেওয়ার কারণ কী?
প্রিন্স : সান্টু ভাই অনেক আগেই প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছেন। আমি এসেছি অনেক পরে। ২০০৭ সালে আমেরিকায় আসি আমি। যদিও এখানে থাকার জন্য আসিনি। আমার স্ত্রী নুসরাত আমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিল। ছুটি নিয়ে এসেছিল ও। এই শহর আমার ছেলের ভালো লেগে যায়। আমার ছেলে আর যেতে চায়নি, পরবর্তীতে আমার স্ত্রী ঢাবি শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি নেয়। এখানে গবেষণা সংক্রান্ত কাজ শুরু করে। আমিও এখানে ব্যবসায় মন দিই। কয়েক বছর ব্যবসা-বাণিজ্য করার পর আবারও ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরেছি এজন্য ভালো লাগছে। এ নিয়ে প্রায় তিন বছর আমেরিকার ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিতে রয়েছি। পাশাপাশি ক্লাব পর্যায়ে কোচিং করাই। ক্রিকেট আমার জীবনেরই অনুষঙ্গ।
এজেড/এএইচএস