বিশ্বকাপে যাচ্ছেন ছয় নতুন মুখ
অনেক অপেক্ষার পর বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ। মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির সংবাদ সম্মেলন কক্ষ থেকে দল ঘোষণা করেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। পুরো দলে চমক বলতে দুটি। তাসকিন আহমেদকে সহ-অধিনায়কের পদে রাখা এবং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের বাদ পড়া।
এই বিশ্বকাপে বেশ তারুণ্য নির্ভর দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে দায়িত্ব পেলেও, বৈশ্বিক পর্যায়ে এটাই তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। তাসকিন আহমেদ চলতি বছরের বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক হয়েছিলেন। সেটাও অবশ্য কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পর।
এই তারুণ্যের মিছিলে আছেন এমন ৬ মুখ যারা কখনোই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাননি। এ ৬ জন হলেন ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম, ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়, উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক, দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও রিশাদ হোসেন এবং পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এদের মধ্যে তানজিদ তামিম গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন সবকটি ম্যাচ। তানজিম সাকিব সুযোগ পেয়েছিলেন দুই ম্যাচে। আর বাকি তিনজনের এটাই দেশের জার্সিতে প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট।
তানজিদ হাসান তামিম বাংলাদেশের উদীয়মান তারকাদের একজন। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা যে দলটা এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে আছে, সেই দলের ওপেনার ছিলেন জুনিয়র তামিম। ইমার্জিং এশিয়া কাপ দিয়ে জাতীয় দলের রাডারে এসেছিলেন। এরপর সরাসরি বিশ্বকাপে। খুব বড় কিছু করে না দেখালেও নিজের ভেতরে থাকা সম্ভাবনার কথা জানান দিয়েছিলেন ভালোভাবেই।
তানজিম সাকিবের শুরুটাও প্রায় সমসাময়িক। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন এই পেসার। এরপর বিতর্কের ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে ছিল তার ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিনিশার রোলে উত্থান হয়েছে রিশাদ এবং জাকেরের। একজন ছিলেন টি-টোয়েন্টিতে। আরেকজন ওয়ানডেতে। রিশাদ জাতীয় দলের রাডারে ছিলেন লেগস্পিনার হয়ে। এরপর ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে চার-ছক্কার ঝড় তুলে নিজেকে করে তোলেন অপরিহার্য।
আর জাকেরের উত্থানে অবদান আছে বিপিএলের। ‘ছেলেটা কালো বলে আপনারা হয়ত চোখে দেখেন না’ এমন এক মন্তব্য করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এরপর ঠিকই জাকেরের সুযোগ মিলেছে বাংলাদেশ দলে। নিজেকেও প্রমাণ করেছেন তিনি।
বিপিএলে জাকেরের সতীর্থ হিসেবে ছিলেন তানভীর আহমেদ। এর আগেও খেলেছেন বাংলাদেশের জার্সিতে। তার পারফরম্যান্সটাও নেহাত ফেলনা নয়। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৬১ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন ৭৪ উইকেট। ক্যারিবিয়ান পিচে সাকিব আল হাসান এবং শেখ মেহেদীর সঙ্গে তাকর ওপরই অঅস্থা রাখতে পেরেছেন নির্বাচকরা।
নতুনদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ নাম তাওহীদ হৃদয়। ২০২২ সালে অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশের মিডল অর্ডার সামলেছেন তিনি। শুরু থেকে দারুণ ছন্দে ছিলেন। এবারের বিপিএলেও আলো কেড়ে নিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার সামলাবেন বগুড়ার এই ক্রিকেটার।
জেএ