লিটন বাদ নাকি পরিকল্পনায় আছেন, ইঙ্গিত দিলেন শান্ত
১, ২৩,১২—জিম্বাবুয়ে সিরিজে সুযোগ পাওয়া প্রথম তিন ম্যাচে লিটন দাসের রান। টানা অফ ফর্মে থাকা টাইগার এই ওপেনার অবশ্য পরের দুই ম্যাচের একাদশেই ছিলেন না। তার জায়গায় তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেছেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার।
বাজে ফর্মের কারণে একাদশ থেকে লিটন বাদ পড়েছেন কি না এমন প্রশ্ন উঠছিল। এমনকী বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা নিয়েও নানা গুঞ্জন চলছে। তবে গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচের পর টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ীই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে লিটনকে।
শান্ত জানালেন, 'আমরা এই সিরিজে সব কিছু ট্রাই করেছি। এটা পরিকল্পনাই ছিল লিটনকে দুটি ম্যাচ বিরতি দিয়ে সৌম্যকে সুযোগ দেওয়া। ৩ জনেরই একাদশে থাকার সুযোগ আছে, প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে বেছে নেব।'
তবে টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে উন্নতির জায়গা দেখছেন শান্ত। জানালেন, ‘আমাদের টপ অর্ডারে ভালো ব্যাটিং করার সামর্থ্য আছে। টপ অর্ডার ভালো শুরু করলে, দল ভালো অবস্থায় থাকবে। ছন্দ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি বিশ্বকাপের আগে ছন্দ ফিরে পাবে তারা।’
সদ্য সমাপ্ত সিরিজে ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে ধারাবাহিক ছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও মিডল অর্ডার ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। সিরিজে দু’টি হাফ-সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ১৬০ রান করেন তানজিদ। ১টি অর্ধশতকে ১৪০ রান করেন হৃদয়। শেষ ম্যাচে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করলেও তানজিদ-হৃদয়ের মত ধারাবাহিক ছিলেন না অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটারদের অধারাবাহিকতার কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাঁচ ম্যাচের কোনটিতেই বড় স্কোর করতে পারেনি বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন
এ ছাড়া ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেটও সন্তোষজনক নয়। স্ট্রাইক রেট নিয়ে এক প্রশ্নে নাজমুল পাল্টা দাবি তুললেন ভালো উইকেটের, ‘আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। এই জিনিসটাতে সময় দিতে হবে। আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলা শুরু করি, ছয় মাস... এক বছর... দুই বছর, তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে।’
এফআই