১০ ব্যাটার নিয়ে টেনেটুনে দেড়শ বাংলাদেশের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তা টপ অর্ডার ব্যাটারদের অফ ফর্ম। যা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতেও আরেকবার দেখা গেল। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর টাইগারদের বড় পুঁজির আশা দেখিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নাজমুল শান্ত। টাইগার অধিনায়ক ধীরগতির ইনিংস খেলে ফিরলেও, অষ্টম টি-টোয়েন্টি ফিফটি করেন রিয়াদ। শেষদিকে জাকের আলীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৫৭ রান।
এই ম্যাচের একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে নামে বাংলাদেশ। সেই তালিকায় চোখ রাখলে দেখা যায়– ১০ ব্যাটসম্যানের সঙ্গে খেলছেন কেবল ১ জন জেনুইন বোলার। যদিও ব্যাটারদের মধ্যে চারজন আবার নিয়মিত অলরাউন্ডার। সবমিলিয়ে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও দৈন্যদশা বাংলাদেশের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের চার ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ। ফলে হোয়াইটওয়াশের পাশাপাশি ভালো ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখানোই মূল লক্ষ্য ছিল স্বাগতিকদের। লক্ষ্য কতটা পূরণ হয়েছে সেটি সবার সামনে উন্মুক্ত। তবে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে এই সিরিজের ফল নিয়েই হয়তো তৃপ্তি পেতে চাইবে টাইগাররা। টাইগারদের মাঝারি স্কোরে আজ বড় অবদান মাহমুদউল্লাহর। ৪৪ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করলেন তিনি। এ ছাড়া শান্ত ৩৬ এবং জাকের ২৪ রান করেছেন।
এর আগে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটাই নড়বড়ে হয়েছিল। প্রথম ওভারে সৌম্য সরকার ছয় হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু সেই আবহ টিকল অল্প কিছুক্ষণ। কারণ দলীয় ৯ রানেই ফিরলেন দুই ওপেনার। ৬ রানের ব্যবধানে আউট তাওহীদ হৃদয়ও। প্রথমে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে পুল করতে গিয়ে ২ রান করে ফিরেছেন তানজিদ। মুজারাবানি বল ছাড়ার আগেই যেন মারার মাইন্ডসেট ঠিক করে রেখেছিলেন তামিম। তার বাড়তি বাউন্স পুল করতে গিয়ে টাইগার ওপেনার খাড়া ওপরে তুলে দেন। আর কোনো রান যোগ না করতেই পরের ওভারে স্পিনার ব্রায়ান বেনেটের বলে আউট সৌম্য। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিলেন ৭ বলে ৭ রান করে।
দুই ওপেনারকে হারানোর ধাক্কা সামলানোর আগে আউট নড়বড়ে হৃদয়ও (৬ বলে ১)। তিনিও বেনেটের বলে কাট করতে গিয়ে হয়েছেন কট বিহাইন্ড। ৪.১ ওভারে ১৫ রান তুলতে বাংলাদেশের নেই ৩ উইকেট। সেখান থেকে শান্ত-রিয়াদ মিলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। যা ১৫ বা এর কম রানে ৩ উইকেট পড়ার পর চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের সর্বোচ্চ জুটিতেও ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ মিলে ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে ৬২ রানের জুটি বাধেন।
এরপর সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়কের বিদায়ে ভাঙে রিয়াদের সঙ্গে তার ৬৩ রানের জুটি। ২৮ বলে শান্ত ৩৬ রান করেছেন। এরপর সাকিবকে নিয়ে রিয়াদ যোগ করেন আরও ৩৯ রান। এরই মাঝে রিয়াদ ৩৬ বলে বলে ফিফটি তুলে নেন। অথচ এরপর আর সেভাবে রান করতে পারেননি তিনি। পরের ৮ বলে করলেন মাত্র ৪ রান। মিড উইকেটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন সাকিব। তাকে ফিরতে হয়েছে ১৭ বলে ২১ রান করে।
শেষদিকে জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে অবশ্য ১৫০ পেরিয়ে স্বাগতিকরা ভালো একটা সংগ্রহই পেয়ে যায়। শেষ ২ ওভারে উঠেছে ২৯ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন মুজারাবানি ও বেনেট। এ ছাড়া ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও লুক জংউই একটি করে শিকার করেন।
এএইচএস