চূড়ান্ত হলো তিন ইউরোপিয়ান ফাইনাল, কার প্রতিপক্ষ কে?
তিন দিনে চূড়ান্ত হলো ইউরোপের তিন মহাদেশীয় ফাইনালের লাইনআপ। চলতি মে মাসেই বসবে দুই ফাইনাল। আর ২ জুন রাতে ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইভোল্টেজ ফাইনাল। তার আগে ২৩ মে ইউরোপা লিগ এবং ৩০ মে তারিখে আছে উয়েফা কনফারেন্স লিগের ফাইনাল।
ইউরোপের তিন মহাদেশীয় আসরের ফাইনালের মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপা লিগে আছে জার্মান বুন্দেসলিগার দুই ক্লাব। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড খেলবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। ইউরোপা লিগে থাকছে জাবি আলোনসোর ইতিহাসগড়া দল বায়ার লেভারকুসেন।
ইউরোপা লিগ এবং কনফারেন্স লিগে থাকছে ইতালির দুই ক্লাব। আতালান্টাকে দেখা যাবে ইউরোপা লিগে বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে। আর টানা দ্বিতীয়বার কনফারেন্স লিগের ফাইনালে খেলবে ফিওরেন্তিনা। আর একটি করে দল থাকছে স্পেন এবং গ্রিস থেকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের ১৫তম শিরোপা নিশ্চিতে নামবে স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ। আর কনফারেন্স লিগে ফিওরেন্তিনার প্রতিপক্ষ গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোস।
এবারের ইউরোপিয়ান তিন প্রতিযোগিতার মাঝে সবচেয়ে জমাট সেমিফাইনাল উপহার দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ এবং রিয়াল মাদ্রিদ। ব্যাপক বিতর্ক আর উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচের পর নিজেদের ১৮তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ২-২ গোলে ড্রয়ের পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-১ গোলের অবিশ্বাস্য কামব্যাক দেখিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপর সেমিতে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের তারকায় ঠাসা দলকে বিদায় করেছে জার্মানির বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। দুই লেগেই তারা জয় পেয়েছে ১-০ গোলে। তাতেই ১১ বছর পর ফের ফাইনাল খেলতে নামবে দলটি। কাকতালীয়ভাবে এবারেও ফাইনালের ভেন্যু সেই ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি।
ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের সেকেন্ড লেগ জয় করে ইতিহাস গড়েছে জার্মানির বায়ার লেভারকুসেন। ১৯৫৫ সালে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা শুরুর পর সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অপরাজিত ছিল পর্তুগালের বেনফিকা। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত টানা ৪৮ ম্যাচ হারেনি ক্লাবটি। গতকাল রাতে রোমার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছে লেভারকুসেন। সেই সঙ্গে ৪-২ গোলের অ্যাগ্রিগেটে নিশ্চিত করেছে ফাইনাল।
অন্য সেমিফাইনালে ফ্রেঞ্চ ক্লাব অলিম্পিক মার্শেইকে নিজেদের মাঠে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে জিয়ান গাস্পারেনির দল আতালান্টা। দুই লেগ মিলিয়ে তারা জয় পেয়েছে ৪-১ ব্যবধানে। এটি তাদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথম ইউরোপিয়ান ফাইনাল।
কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনালে বড় চমক দিয়েছিল গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের উত্থান। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ছন্দে থাকা অ্যাস্টন ভিলাকে বলতে গেলে মাটিতে নামিয়ে এনেছে তারা। প্রথম লেগেই ৪-২ গোলের জয়ে কাজটা সহজ করে রেখেছিল তারা। এরপর দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলের জয় তাদের নিয়ে যায় নিজেদের প্রথম ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালে।
ফিওরেন্তিনা ম্যাচটাও বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছিল। প্রথম লেগে বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুগের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে তারা। এরপর দ্বিতীয় লেগে নব্বই মিনিট পর্যন্ত ছিল ২-২ গোলের সমতা। ম্যাচের ৯১ মিনিটে এমবালা এনজোলার গোলে ৪-৩ অ্যাগ্রিগেটে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফিওরেন্তিনা। এখন পর্যন্ত তিনবার ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় রানারআপ হওয়া দলটি এবার আছে নিজেদের প্রথম ইউরোপিয়ান সাফল্যের নেশায়।
এরইমাঝে নিশ্চিত করা হয়েছে তিন ফাইনালের ভেন্যু। সেই ভেন্যু বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোস। নিজে দেশেই ফাইনাল খেলবে তারা। কনফারেন্স লিগের ফাইনাল হবে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের ওপিএপি স্টেডিয়ামে। ইউরোপা লিগের ফাইনাল হবে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন আভিভা স্টেডিয়ামে। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল হবে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে।
জেএ