ব্যর্থতার দায়ভার মাথা পেতে নিলেন এমবাপে
ঘরের মাঠে দুর্দান্ত অ্যাটাকিং ফুটবল, বিপুল সমর্থনের কিছুই কাজে লাগল না পিএসজির। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রেঞ্চ ক্লাবটিকে আরও একবার রুখে দিয়েছে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যাটস হুমলসের একমাত্র গোলে ফাইনালের টিকিট কেটেছে জার্মান ক্লাবটি। ২০১৩ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে ডর্টমুন্ড।
চলতি মৌসুম শেষেই কিলিয়ান এমবাপে প্যারিসের ক্লাবটিকে বিদায় জানানোর কথা। সে হিসেবে এটাই ছিল ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার শেষ ম্যাচ। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে পরাজয়ের দায়ভার নিজের ওপরই তুলে নিলেন এমবাপে।
আরও পড়ুন
পার্ক ডি প্রিন্সেসে গতকাল ম্যাচের পর এমবাপে বলেন, ‘আমি সবসময়ই দলকে সহযোগিতা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করি। কিন্তু কাল সেটা যথেষ্ঠ ছিল না। আমার অবশ্যই গোল করা উচিত ছিল, দলও সেটাই চায়। বক্সের ভেতর আমরা কতটুকু দক্ষ ছিলাম, সেটা দেখতে গেলে বলতেই হয় আমাকে ওরা টার্গেট করেছিল। যখন সবকিছু ঠিকভাবে হয় তখন সব স্পটলাইট আমার ওপর থাকে। কিন্তু যখন তা না হয় তখনো সবকিছুই বলা উচিত। কাউকে না কাউকে তো ব্যর্থতার দায়ভার নিতে হবে, এখানে সমস্যার কিছু দেখি না। আজ যদি কারো স্কোর করার কথা থাকতো তবে সেটা প্রথমেই আমি। এটাই জীবন, আমাদের এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে পিএসজি প্রায় ৭০ শতাংশ বল নিজেদের কাছে রেখেছিল, অন্তত ৩০টি শট তারা টার্গেটে করেছে। লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা চারবার বল বারে লাগিয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে শূন্য হাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এটা পিএসজির দুর্ভাগ্য নয়, তারা যথেষ্ঠ ভালো খেলতে পারেনি, দাবি এমবাপের।
ফরাসি তারকা বলেন, ‘আমি জানি না ডর্টমুন্ড আমাদের থেকে ভালো খেলেছিল কি না। তাদেরকে অপমান করার প্রয়োজন নেই। আমার মত হলো তারা দুই বক্সেই আমাদের থেকে এগিয়ে ছিল। আমাদের বক্সে এক থেকে দুইবার তারা এসেছে এবং গোল পেয়েছে। আমরা বেশীরভাগ সময়ই তাদের ওখানে পৌঁছেছি কিন্তু কোনো গোলই আদায় করতে পারিনি। এটাই বাস্তবতা। আমি কখনই ভাগ্যকে দোষারোপ করতে পছন্দ করি না। কেউ যখন ভালো খেলবে তখন পোস্টে কেন বল লাগাবে।’
পিএসজির জার্সিতে এটাই এমবাপের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ। মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি তারকা। আসন্ন গ্রীষ্মে রিয়াল মাদ্রিদে যাচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তর অনেকটাই এড়িয়ে গেছেন এমবাপে।
পিএসজি সভাপতি নাসির আল-খেলাইফি বলেছেন, ‘খেলোয়াড় ও কোচ তাদের সবকিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন। এর থেকে ভাল আমাদের খেলা উচিৎ ছিল। এটা কঠিন একটি ম্যাচ ছিল। আমি দলের পারফরম্যান্স দারুণ গর্বিত। ইউরোপে আমরাই সবচেয়ে তরুণ দল। পাঁচ বছরে তিনবার আমরা সেমিফাইনালে খেলেছি। এটা আমাদের লক্ষ্য নয়, এখনো আমরা ফাইনাল খেলতে চাই। এটাই ফুটবল, সবাইকে এটা মেনে নিতে হবে। অনেক সময় হয়তো সবকিছু সঠিকভাবে হবে না, কিন্তু স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করাটাই সামনে এগিয়ে যাবার ক্ষেতে সবকিছু সহজ করে দেবে।’
এফআই