ক্ষমা চেয়ে জাতীয় দলে ফিরতে চান রোমান সানা
দেশসেরা অলিম্পিয়ান আরচ্যার রোমান সানা বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। সম্প্রতি আকস্মিকভাবে জাতীয় দল থেকে অব্যাহতি চেয়ে ফেডারেশনে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর হতাশা থেকে ফেডারেশন নিয়েও নানা মন্তব্য করেন। যা নিয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমার পাশাপাশি আগের অব্যাহতি প্রত্যাহার চেয়ে আবারও দেশের হয়ে খেলার সুযোগ চেয়ে ফেডারেশনে চিঠি দিয়েছেন রোমান সানা।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল রোমানের চিঠি প্রসঙ্গে বলেন, ‘সে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেবে বলে আমাকে জানিয়েছিল। ফেডারেশনে চিঠি জমা হওয়ার পর অফিস আমাকে অবহিত করেছে।’ আরচ্যারি ফেডারেশন রোমানের অব্যাহতিপত্র গ্রহণ করেছিল। রোমান নতুন চিঠিতে অব্যাহতি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন। এই ব্যাপারে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সভাপতি মহোদয় চিঠি দেখবেন। এরপর তিনি প্রয়োজনবোধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। রোমানের বিষয়ে কারও কোনো একক সিদ্ধান্ত নেই, যা হয়েছিল ফেডারেশনের নির্বাহী সভায় এবং সামনে কিছু হলেও সেটা সভার মাধ্যমেই হবে।’
গত ২ মে ফেডারেশনের সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছেন রোমান। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রোমানের মন্তব্যের বিপরীতে ক্ষমা না চাইলে এবং জাতীয় দলের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি না হলে তিনি ফেরার পক্ষে ছিলেন না। সেই অবস্থানে অবশ্য বেশিদিন থাকতে পারেননি দেশের অন্যতম সেরা আরচ্যার। কেন এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন সেই ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
ফেডারেশনে প্রেরিত চিঠিতে রোমান ফেডারেশন সংক্রান্ত অযাচিত মন্তব্যে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নিজের মন্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করে ফেডারেশনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন দেশসেরা এই আরচ্যার। একইসঙ্গে জাতীয় দলে না খেলার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসে আবার দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম বয়ে আনার জন্য ফেডারেশনের কাছে সুযোগও চেয়েছেন।
জাতীয় দলে ফিরতে হলে রোমানকে ট্রায়ালের মাধ্যমে স্কোর করে প্রমাণ দিয়ে ফিরতে হবে। রোমান জাতীয় দল থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দেওয়ার আগেই ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাদ পড়েন জাতীয় দল থেকে।
আরচ্যারি দেশের নতুন খেলার একটি। সেই খেলাকে বিশেষ পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পেতে বড় ভূমিকা রেখেছেন রোমান সানা। তিনি সরাসরি অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে পদকও এনে দিয়েছেন। এত প্রাপ্তির পরেও ফেডারেশন থেকে আর্থিকভাবে তেমন সহায়তা পাচ্ছিলেন না, এজন্য জাতীয় দল থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেন। গণমাধ্যমে আর্থিক বিষয়টি মূল কারণ বললেও, ফেডারেশনের চিঠিতে তার বাজে পারফরম্যান্স ও মানসিক হতাশার বিষয়টি উল্লেখ করে জাতীয় দল থেকে অব্যাহতি চাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এজেড/এএইচএস