প্লে-অফ খেলতে আর্থিক সাহায্য চায় মেরিনার্স
হকি লিগের প্লে-অফ জটিলতা কাটছেই না। হকি ফেডারেশন দ্বিতীয় দফায় দুই ক্লাব আবাহনী ও মেরিনার্সকে প্লে-অফ খেলার (১০ ও ১৩ মে) আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই ক্লাবের কেউই ফেডারেশনকে ফিরতি চিঠি দেয়নি। তবে দুই ক্লাবেরই প্রায় একই রকম ভাষ্য– এত দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্লে-অফ খেলা সম্ভব নয়।
ঢাকা মেরিনার্স ইয়াংস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান রানা বলেন, ‘বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনের কোটা শেষ। অন্যদের আনার সুযোগ নেই। সেই নিবন্ধিত খেলোয়াড়রা অন্য দেশে ও নিজ দেশের ভিন্ন দায়িত্বে রয়েছেন। তাদের ছুটি পাওয়া, ভিসা করানো সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ। তাছাড়া এটা চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণী ম্যাচ, সুতরাং সেই ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য বিশেষ সময় প্রয়োজন।’
ঢাকা মেরিনার্স ইয়াংস ক্লাবের সিদ্ধান্ত– এত স্বল্প সময়ে প্লে-অফ খেলা সম্ভব নয়। আজ রাতেই ক্লাবটির চিঠি ফেডারেশনে পৌঁছানোর কথা। সেই চিঠিতে ফেডারেশন নির্ধারিত সময়ে খেলতে অপারগতার পাশাপাশি প্লে-অফে খেলার জন্য আর্থিক সহযোগিতার কথাও থাকছে চিঠিতে। এই প্রসঙ্গে ক্লাবের সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা ফেডারেশনের কাছে আর্থিক সহায়তার অনুরোধ করছি।’
হকি ফেডারেশন আর্থিকভাবে দুর্বল। লিগ শেষ করেছে অনেকটা কষ্টেসৃষ্টে। প্লে-অফ আয়োজন করতে ফেডারেশনেরই লাখ টাকার ওপর বাড়তি ব্যয় হবে। সেই ফেডারেশন কোনো ক্লাবকে এক ম্যাচের জন্য আর্থিক সহায়তা করা অনেকটা অসম্ভবই!
আরও পড়ুন
ঢাকা আবাহনীর কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, ১০-১৩ মে’র মধ্যে খেলা তাদের পক্ষে কঠিনই। খানিকটা পিছিয়ে দিলে তারা ম্যাচ খেলার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সক্ষম। আবাহনীরও খেলোয়াড় জটিলতা রয়েছে। বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়াও মেরিনার্সের মতো তাদেরও এক দেশি খেলোয়াড় জার্মানিতে। অন্যদিকে, আবাহনীর আরেকটি জটিলতা খেলোয়াড়দের সাসপেনশন। শিরোপা নির্ধারণী আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে তাদের খেলোয়াড় লাল ও হলুদ কার্ড পেয়েছে। তাই সাসপেনশনের একটা খড়গ ঝুলছেই।
ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লিগে আবাহনী ও মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট। বাইলজ অনুযায়ী শিরোপা নির্ধারণ হবে প্লে-অফে। সেই প্লে-অফ আয়োজন নিয়েই দুই সপ্তাহের বেশি অতিবাহিত হয়ে গেছে। এমন জটিলতা নিরসন আরও সময়সাপেক্ষ হবে বলে ধারণা হকিসংশ্লিষ্টদের।
এজেড/এএইচএস