ম্যাচ হারের পর যা বললেন মুস্তাফিজদের অধিনায়ক
ঘরের মাঠ চিপকে দারুণ আধিপত্য ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। কিন্তু চলতি আসরে সেটি যেন ভুল প্রমাণিত করছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দলটি। গতকাল পাঞ্জাব কিংসের কাছে তারা দেখেছে শোচনীয় হার। ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখানো চেন্নাইয়ের ১৬২ রানের লক্ষ্য পাঞ্জাব ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়েছে। এমন হারের জন্য শিশিরকে দায় দিয়েছেন চেন্নাই অধিনায়ক গায়কোয়াড়। এছাড়া ব্যাটিংয়ে ৫০-৬০ রান কম হয়েছে বলেও দাবি তার।
ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে গায়কোয়াড় বলেন, ‘সম্ভবত আমাদের ৫০-৬০ রান কম হয়েছে। পিচের কথা ভেবে আমাদের প্রথমে ব্যাটিং করতে হয়েছিল, পিচ ভালো ছিল না। এটি পরে ভালো (ব্যাটিংয়ের জন্য) হতে শুরু করে, এরপর শিশির এবং ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম– কোনো কিছুই আমাদের সাহায্য করেনি।’
আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৬০ রানে হারিয়েছিল চেন্নাই। সেই ম্যাচের জয়ও অপ্রত্যাশিত ছিল বলেন জানান চেন্নাই অধিনায়ক, ‘এমনকি শেষ ম্যাচে যে আমরা ৬০ রানে জিতেছি, সেটিও ছিল আশ্চর্যজনক। আমরা জয় আশা করিনি, কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি এমনটা সম্ভব করেছে।’
গতকাল চেন্নাই বিশেষত পাঞ্জাব স্পিনারদের সামনে খাবি খেয়েছে। যেখানে পেসাররা রান খরচ করছেন উদারভাবে, সেখানে স্পিনারদের ৬ গড়েও রান নিতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটাররা। হারপ্রিত ব্রার ও রাহুল চাহার মিলে ৮ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। অন্যদিকে চেন্নাইয়ের হয়ে কেবল রবীন্দ্র জাদেজা স্পিনারদের মধ্যে কিছুটা ভালো করেছেন, যদিও তিনি উইকেট পাননি। অন্যদিকে প্রায় বাকি সব বোলার রান দিলেও, ব্যতিক্রম ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। চলতি আসরে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে ৪ ওভারে এক মেইডেনসহ তিনি মাত্র ২২ রান দেন।
চোটের কারণে ম্যাচটিতে ছিলেন চেন্নাইয়ের প্রধান দুই পেসার মাথিশা পাথিরানা ও তুষার দেশপান্ডে। তাদের অনুপস্থিতি আরও চাপ বাড়িয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে সামির রিজভীকে খেলানো হলেও, তিনি আশানুরূপ কিছু করতে পারেননি। এমনকি বোলিংয়ে নেমে মাত্র দুই বল করার পরই মাঠ ছাড়েন পেসার দীপক চাহার। তার চোটের বিষয়ে যদিও পরে আর জানা যায়নি।
পুরো বিষয় নিয়ে চেন্নাই অধিনায়ক জানান, ‘এটাই সত্যিকারের সমস্যা। যেখানে যেখানে আপনি উইকেট নিতে চাইবেন এবং আকস্মিকভাবে কেবল আপনার হাতে উইকেট নেওয়ার মতো দুজন বোলার আছে। এর সঙ্গে শিশিরের কারণে স্পিনাররা লড়াইয়ের বাইরে ছিলেন। তাই নিশ্চিতভাবেই একটি কঠিন দিন গেছে আমাদের, কিন্তু আমাদের সামনে আরও চার ম্যাচ আছে, আমরা এমন অবস্থা কাটিয়ে উঠতে চাই।’
ঘরের মাঠে চেন্নাই এবারের আইপিএলে দ্বিতীয় হার দেখল। গ্রুপপর্বে তাদের কেবল আর একটিমাত্র হোম ম্যাচ আছে। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে ১২ মে। চেন্নাই নিজেদের সর্বশেষ চারটি অ্যাওয়ে ম্যাচের তিনটিই হেরেছে। আগামী রোববার ধর্মশালায় ফিরতি ম্যাচে পাঞ্জাবের মুখোমুখি হবে।
এএইচএস