বিশ্বরেকর্ড গড়া জয়ে যে কারণে কৃতিত্ব পাচ্ছেন প্রীতিও
কেবল আইপিএলেই নয়, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড গড়া জয় পেয়েছে পাঞ্জাব কিংস। কলকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তারা ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়েছে। এমন জয়ের জন্য দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো জনি বেয়ারস্টো এবং বিধ্বংসী ফিফটি করা শশাঙ্ক সিং তো প্রশংসা পাচ্ছেনই, কৃতিত্ব পাচ্ছেন পাঞ্জাবের মালিক ও বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতাও!
আইপিএলে তিন বছর পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছিলেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। ফলে ফ্র্যাঞ্চাজিটির ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রীতির আচরণ ও আত্মত্যাগ তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। বিশ্বরেকর্ড গড়ে ম্যাচ জয়ের পর আইপিএলের অফিশিয়ার ব্রডকাস্টের আলোচনায় এ নিয়ে কথা বলেছেন পাঠান। যেখানে পাঞ্জাবের সফলতা-ব্যর্থতায় প্রীতির অংশীদার হওয়ার কিছু ঘটনাও উল্লেখ করেন সাবেক এই ভারতীয় তারকা।
পাঠান বলেন, ‘তিনি (প্রীতি জিনতা) চমৎকার একজন নারী। দলের সঙ্গে যে খুব ভালোভাবে সম্পৃক্ত থাকেন। যখন দেখা যায় দল হারের দ্বারপ্রান্তে, তখন খুব পেরেশান হয়ে যান, কিন্তু তিনি জানেন কীভাবে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।’ দলকে পুরো সমর্থন দিতে প্রীতি কতটা উদ্যমী সেটাই বোঝাতে চাইলেন পাঠান।
— Star Sports (@StarSportsIndia) April 26, 2024
এরপর বলিউডে প্রীতির সফলতা নিয়েও কথা বলেন ইরফান পাঠান, ‘যখন তিনি অভিনয় করতেন, দারুণ অভিনেত্রী ছিলেন, খুব অভিজ্ঞ এবং সফলও বলা চলে। তিনি জানেন কিছুই সহজ নয়। সব মুভিই হিট হবে না এটাও জানতেন। একইভাবে মাঠেও পাঞ্জাব টিম প্রতিটি ম্যাচ জিতবে বিষয়গুলাও ভালোভাবে বোঝেন। যখন দল হেরে যায় তিনি আমাদের সঙ্গে এসে কথা বলেন। দলটির সঙ্গে আমার তিন বছরের সময়কালে দেখেছি, আমরা ৪০টিরও বেশি ম্যাচ খেললেও কেবল ২–৩ বার আমাদের ওপর হতাশা দেখিয়েছেন তিনি। অন্যথায় বেশিরভাগ সময়ই শান্ত থাকতেন।’
আরও পড়ুন
মাঠের বাইরেও প্রীতি খেলোয়াড়দের প্রতি কেমন আন্তরিক সেটা মজার এক ঘটনা দিয়ে উল্লেখ করেন পাঠান। ২০০৯ আইপিএল আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানকার একটি ঘটনা স্মরণ করে বর্তমানে ভারতীয় এই ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেন, ‘তিনি (প্রীতি) একবার দক্ষিণ আফ্রিকায় পুরো দলের জন্য নিজহাতে পরোটা বানিয়ে খাইয়েছিলেন। কারণ আমরা চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ জিতি, প্রায় ৪০টি পরোটা বানিয়েছিলেন প্রীতি। তিনি দলের মালিক হলেও, ভিন্ন লেভেলের একজন।’ তার এমন আচরণ দলের সাফল্যের পেছনে অবদান রাখছে বলে অভিমত পাঠানের।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই উপস্থিতি ছিল পাঞ্জাবের। প্রথমদিকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব নাম থাকলেও, পরবর্তীতে সেটি বদলে পাঞ্জাব কিংস করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি প্রীতি জিনতার দলটি। প্রথম আসরে ৬৬ শতাংশের বেশি জয় নিয়ে তারা আসর শেষ করেছিল তিন নম্বরে থেকে। এরপর ২০১৪ আসরে কেবল ফাইনালে উঠেছিল পাঞ্জাব, যদিও তাদের রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। চলতি আসরেও তাদের অবস্থান অতটা সুবিধার নয়, ৯ ম্যাচে তিন জয় নিয়ে পাঞ্জাবের অবস্থান আটে।
এএইচএস