পাকিস্তানে ‘যাবে না’ ভারত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও হাইব্রিড মডেলে!
পাকিস্তানের মাটিতে ভারত খেলতে না চাওয়ায় সর্বশেষ এশিয়া কাপ আসর বসেছিল হাইব্রিড মডেল অনুসারে। ফলে পাকিস্তানের একক আয়োজক স্বত্বে ভাগ বসায় শ্রীলঙ্কা। আগামী বছর আরও বড় টুর্নামেন্ট আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্বও পেয়েছে বাবর আজমদের দেশ। তবে এবারও বেঁকে বসেছে ভারত, ফলে ১৯৯৬ সালের পর প্রথম কোনো আইসিসির ইভেন্ট আয়োজনেও তারা ঝামেলায় পড়েছে!
ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণেই যে বারবার এমনটা ঘটছে— এই খবর পুরোনো। শোনা যাচ্ছে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরও নাকি হাইব্রিড মডেল অনুসারে আয়োজনের দাবি তুলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস)। তাদের বরাত দিয়ে ভারত-পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমও একই খবর জানিয়েছে।
অথচ গত কয়েকদিন ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছে। প্রথম সাদা পোশাকে (টেস্ট) নিয়মিত সিরিজ আয়োজনের আহবান জানান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাতে সমর্থন দিয়ে একই সুর তোলেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি শহীদ আফ্রিদিও। যার ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটির সমর্থকরাও আইসিসি ও এসিসি ইভেন্টের বাইরে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন।
— Cricket Pakistan (@cricketpakcompk) April 24, 2024
তবে তাদের সেই আশা হয়তো গুঁড়েবালিতে পরিণত করতে পারে আইএএনএসের প্রতিবেদন। বিসিসিআই সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কথা রাখুন…টিম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না–ও যেতে পারে। ফলে খুব সম্ভবত টুর্নামেন্টের ভেন্যু বদলে যেতে পারে, সম্ভাবনা রয়েছে হাইব্রিড মডেল আনার।’
পাকিস্তানে দল পাঠাতে ভারতীয় সরকারের অনুমতি প্রয়োজন বলেও জানান বিসিসিআইয়ের ওই সূত্র, ‘সেখানে ভ্রমণে ভারতীয় বোর্ডের সরকারি অনুমতি প্রয়োজন, বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কও ওরকম ভালো নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আইসিসির ইভেন্ট, তাই এটি ভারতের জন্য খুব কঠিন সিদ্ধান্ত। সরকারের নির্দেশনা/গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়। এছাড়া অদূর ভবিষ্যতে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজেরও কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’
আরও পড়ুন
রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে প্রায় ১৭ বছর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ থেকে বিরত রয়েছে ভারত-পাকিস্তান। ফলে আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্ট ছাড়া সাধারণত দেখা হয় না বিশ্ব ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের। সর্বশেষ ২০১২-১৩ মৌসুমে মিসবাহ-উল হকের নেতৃত্বে ভারতের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা ছিল। তবে পরে সেটি স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ভারতের আপত্তিতে ২০২৩ এশিয়া কাপের বেশিরভাগ ম্যাচও গড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েও চলমান দোলাচল শেষ পর্যন্ত কোন পর্যায়ে গিয়ে থামে সেটাই দেখার বিষয়!
এএইচএস