মুস্তাফিজের বিদায়ের আগেই যে লক্ষ্য চেন্নাইয়ের
আইপিএলের প্রথম রাউন্ডে নিজেদের অর্ধেকের বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। অথচ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এখনও নিজেদের সেরা কম্বিনেশন খুঁজে পায়নি। ওপেনিংয়ে দুর্বলতার পাশাপাশি মিডল অর্ডারেও কিছু ঘাটতি রয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানদের দলটিতে। পাশাপাশি এই বাংলাদেশি পেসারও শেষ কয়েক ম্যাচে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দিতে পারছেন না, বিপরীতে ছিলেন বেশ খরুচে। এরপর আবার ১ মে’র পর দেশে ফিরতে হবে তাকে।
সবমিলিয়ে মুস্তাফিজ দেশে ফেরার আগেই নতুন করে পুরো দলকে গোছাতে চায় চেন্নাই। টুর্নামেন্টের সফলতম দলটি ইতোমধ্যে আট ম্যাচ খেলে কেবল ৪টিতে জিতেছে। ফলে শীর্ষ চার থেকেও নিচে নেমে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনি–রুতুরাজ গায়কোয়াড়রা। হলুদ শিবিরে যেমন ধারাবাহিক ফর্মের অভাব রয়েছে, তেমনি রয়েছে চোটের সমস্যাও। তাই নতুন করে দল গোছানো নিয়ে কথা বলেছেন চেন্নাইয়ের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং।
গতকাল (মঙ্গলবার) ঘরের মাঠ চিপকের এম চিদাম্বরমে চলতি আসরে চতুর্থবারের মতো খেলতে নেমেছিল চেন্নাই। আগের তিন ম্যাচে জয় পেলেও, গতকাল প্রথম নিজেদের ডেরায় তিক্ত হারের স্বাদ পেয়েছে। যদিও আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ ২১০ রানের পুঁজি গড়ে চেন্নাই। তবে লখনৌ সুপার জায়ান্টস সেটি পেরিয়েছে ৩ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখে। শেষ ওভারে জিততে লখনৌর প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। এক নো বলের সঙ্গে তিন বলেই ১৯ রান দিয়ে প্রতিপক্ষের জয়ের রাস্তা একেবারেই সহজ করে দিয়েছেন মুস্তাফিজ।
এভাবে শিষ্যদের অফফর্ম এবং চোটের বিষয়ে চেন্নাই কোচ ফ্লেমিং বলেন, ‘আমরা দুটি জিনিস খোঁজার চেষ্টা করছি, একটি হচ্ছে উপযুক্ত কম্বিনেশন, আরেকটি ফর্ম। আমরা কয়েকটি জায়গায় অস্বস্তিতে রয়েছি, তাই সেসব জায়গা দ্রুত ঠিক করার পাশাপাশি সঠিক কম্বিনেশন পাওয়ারও চেষ্টা চালাচ্ছি। যেখান থেকে টুর্নামেন্টের বাকি সময়ে ক্রিকেটাররা নিজেদের সঠিক অবদানটা রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন
এদিকে, মুস্তাফিজের বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনা যেমন হচ্ছে, নতুন চিন্তা বাড়ছে চেন্নাইয়ের। কারণ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অংশ নিতে আর দুই ম্যাচ পরই দেশে ফিরছেন মুস্তাফিজ। যার আগে ফ্লেমিংয়ের লক্ষ্য, ‘কয়েক ম্যাচ পরই মুস্তাফিজ চলে যাচ্ছে তাই আমাদের আরেকটি পরিবর্তন আনতে হবে। তাই আমরা প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করছি এবং আমরা এমন একটা দল পেতে চাই যাতে করে শেষ পর্যন্ত আমরা প্রভাব বিস্তার করতে পারি।’
সাবেক কিউই অধিনায়ক ও চেন্নাই কোচ আরও বলেন, ‘আমাদের কয়েকজনের চোট সমস্যা রয়েছে। তাই আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। তবে মূল জিনিস হচ্ছে ক্রিকেটাররা সঠিক জায়গায় অবদান রাখতে পারছে কিনা এবং ফর্মে আছে কিনা। যেটাতে (কম্বিনেশন তৈরিতে) কিছুটা সময় লাগে। হ্যাঁ, এখানে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। কয়েকটা ফর্মের কারণে, আর কয়েকটা আমরা বাধ্য হয়ে করেছি।’
এএইচএস