মর্যাদার মিলান ডার্বি জিতলেই শিরোপা পাবে ইন্টার
নব্বইয়ের দশক তো বটেই, এক যুগ আগেও ইতালিয়ান সিরি ‘আ’ এর দাপট ছিল চোখে পড়ার মতোই। দেশটির দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইন্টার মিলান এবং এসি মিলানের মধ্যেকার মিলান ডার্বি ছিল সমর্থকদের কাছে সবচেয়ে প্রত্যাশিত এক লড়াই। ইতালিয়ান লিগের আগের সেই জৌলুশ হারিয়েছে। ইন্টার মিলান এবং এসি মিলানও পেরিয়ে এসেছে নিজেদের সোনালি দিনগুলো।
তবু মিলান ডার্বি আসে। ইতালির বিখ্যাত মিলান শহরটা আগে থেকেই ফুটবল, শিল্পম সাহিত্যের পূজারি। মিলান ডার্বির রাতে সেখানে আরও বাড়তি রঙ ছড়ায়। শহর ভাগ হয়ে যায় দুই ভাবে। কেউ রোজোনেরি তো কেউ নেরাজ্জুরি।
রোজোনেরি মানে লাল-কালো, অর্থাৎ এসি মিলানের সমর্থক। আর নেরাজ্জুরি মানে নীল-কালো বা ইন্টার মিলানের সমর্থক। ১৮৯৯ সালে এসি মিলানের জন্ম হয় ব্রিটিশ ফুটবলার হার্বার্ট কিলপিনের হাত ধরে। ১৯০৮ সালে বিদেশি খেলোয়াড় দলে নেয়ার ইস্যুতে ভাগ হয়ে যায় ক্লাবটি। জন্ম হয় এফসি ইন্টারন্যাজিওনালে মিলানোর। যাকে সংক্ষেপে ডাকা হয় ইন্টার মিলান।
দীর্ঘদিনের সেই দ্বৈরথের আজ আরও এক ম্যাচ। দুই দলই একই স্টেডিয়াম ব্যবহার করে। সান সিরোতে হবে সেই ম্যাচ। তবে আজকের ম্যাচে আছে বাড়তি মাহাত্ম্য। আজ জিতলে মিলান ডার্বি জয় তো হবেই, সঙ্গে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’ শিরোপাও জয় করে নেবে ইন্টার মিলান।
জুভেন্টাসের এক দশকের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়েছিল ইন্টার মিলান। এরপর একবার শিরোপা গিয়েছে এসি মিলানে। মাঝে নাপোলির ঘরে গিয়েছে গত আসরের লিগ টাইটেল। আজ আবার ইন্টারের সামনে সুযোগ আছে সেই শিরোপা নিজেদের করে নেওয়ার। ইতালির শীর্ষ পর্যায়ের সিরি ‘আ’ লিগে ইন্টার মিলান ও এসি মিলান উভয়ই সমান ১৯টি করে লিগ শিরোপা জিতেছে। আজ ২০তম লিগ শিরোপা জয়ের হাতছানি ইন্টারের সামনে।
সর্বশেষ টানা পাঁচটি মিলান ডার্বি জিতেছে ইন্টার মিলান। এর মধ্যে গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে উভয় লেগেই জিতেছে সিমোন ইনজাঘির দল। সেই হিসেবে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ নিয়েই আজ মাঠে নামবে ইন্টার। অন্যদিকে এসি মিলান নিশ্চিতভাবেই মর্যাদার এই লড়াই জিততে চাইবে। সর্বশেষ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্টারকে হারাতে পেরেছে রোজোনেরিরা।
এবারের লিগে ৩২ রাউন্ড শেষে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ইন্টার মিলান। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলান ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। আজ রাতে জিতলে ৩৩ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট হয়ে যাবে ইন্টারের। তখন এসি মিলানকে ১৭ পয়েন্টে পেছনে ফেলবে নেরাজ্জুরিরা। শেষে পাঁচ ম্যাচে ইন্টারকে পেছনে ফেলা সম্ভব হবে না এসি মিলানের জন্য।
জেএ