বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরে স্মৃতিকাতর নাফিস
জাতীয় দলের রাডারে থাকা প্রায় ৩৫ ক্রিকেটার আজ রানিং পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে ছিলেন না সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদদের মতো একাধিক তারকা ক্রিকেটার। অবশ্য পরে এসব ক্রিকেটারদের সুযোগ থাকছে ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়ার।
আজ শনিবার সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ১৬০০ মিটার দৌড়েছেন ক্রিকেটাররা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্সের সহকারী ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিসও। এবার বিসিবির একজন কর্মকর্তা হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পা রেখেছেন তিনি। তবে এই মাঠে ক্রিকেটার নাফিসের অনেক স্মৃতি আছে।
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরে ভালো লাগছে। আমাদের জীবনে খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়া, খেলা দেখে শেখা সব এই স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করেই। এখনও মনে আছে খুব সম্ভবত ১৯৯৩ বা ১৯৯৪ এ প্রথম এই মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলাম। কাজিনরা যেহেতু খেলতেন। ফারুক (আহমেদ) ভাই জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের যে আইকনিক প্লেয়াররা ছিলেন তাদের দেখে খেলা শুরু এই মাঠেই।'
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে না পারার আক্ষেপ নাফিসের, 'আমার বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা এখানেই শুরু। আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ যে ইনিংসটা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনুশীলন ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে সেটাও এই মাঠে। আমি জাতীয় দলের কোনো খেলা পাইনি এখানে এটা আমার বড় আফসোস। শুধু আমার না বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন মানেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। এখানে এলে ভালো না লাগার কোনো সুযোগই নেই।'
এদিকে ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ‘অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম-ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে যদি নেই তাহলে প্রপার টাইমিংটা হয়। কারণ ওইভাবেই হিসাব করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’
এসএইচ/এইচজেএস