বায়ার্ন রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে জার্মানির চ্যাম্পিয়ন লেভারকুসেন
ফ্লোরিয়ান ভির্টজ ক্যারিয়ারে কখনো হ্যাটট্রিক পাননি। কাল ভেরডার ব্রেমেনের বিপক্ষে পেলেন। ৮৯ মিনিটে যখন গোল করলেন, তখন দর্শকদের আর দমিয়ে রাখা যায়নি। বে অ্যারেনার গ্যালারি থেকে সবাই নেমে পড়েছেন মাঠে। খেলাই আর শুরু করা হয়নি। তার আগেই যে ফলাফল নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। লেভারকুসেন ৫ - ০ ভেরডার ব্রেমেন। ১১ বছরের বায়ার্ন মিউনিখ আধিপত্য শেষে লেভারকুসেন জার্মান বুন্দেসলিগার নতুন চ্যাম্পিয়ন।
গতকালের এই জয়ের পর লেভারকুসেনের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২৯ ম্যাচে ৭৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট সমান ম্যাচে ৬৩। দুই দলের ব্যবধান ১৬ পয়েন্ট হয়ে যাওয়ায় পরের পাঁচ ম্যাচে হারলেও শীর্ষেই থাকবেই লেভারকুসেন। ১২০ বছরের ক্লাব ইতিহাসে এটিই শীর্ষ লিগে লেভারকুসেনের প্রথম ট্রফি। এর আগে পাঁচবার রানার্সআপ হয়েছে তারা।
জিতলেই ক্লাব ইতিহাসের প্রথম লিগ শিরোপা। বায়ার লেভারকুসেনের সামনে সমীকরণ ছিল ঠিক এতোটাই সরল। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরুই করেছিল তারা। ২৫ মিনিটে প্রথম গোল আসে পেনাল্টি থেকে। ভিক্টর বনিফেসের গোলের পর থেকেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায় বে অ্যারেনায়।
গ্রানিত শাকা লেভারকুসেনে এসেছিলেন একরাশ সমালোচনা নিয়ে। আর্সেনাল থেকে রীতিমত সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়ে বিদায় নিলেন। কিন্তু লেভারকুসেনের জার্সিতে যেন নিজের ফুটবলীয় প্রতিভার সবটা দেখিয়ে দিলেন। দারুণ এক গোল দলকে নিয়ে গেলেন শিরোপার আরও কাছে।
বাকি সময়টা কেবলই ফ্লোরিয়ান ভির্টজ আর বে অ্যারেনার সমর্থকদের। পুরো মৌসুমে দাপুটে ফুটবল উপহার দেয়া লেভারকুসেন শেষ আধঘণ্টায় ছিল আরও ক্ষিপ্র। ৮৪ মিনিটে চতুর্থ গোলের পরেই সমর্থকরা নেমে পড়েন মাঠে। কয়েক মিনিট বন্ধ ছিল সেসময়। ৮৯ মিনিটে গোলের পর আর আটকানো সম্ভব হয়নি।
৫-০ গোলের জয় নিশ্চিত। নিশ্চিত ক্লাব ইতিহাসের প্রথম শিরোপা। সমর্থকদের আটকে রাখা তো দায়! রেফারিও তাই বাধ্য হয়ে বাজালেন বাঁশি। ওই এক বাঁশির শব্দেই শেষ হলো বুন্দেসলিগায় টানা ১১ বছরের বায়ার্ন মিউনিখের রাজত্ব। বুন্দেসলিগায় ৫ ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করলো বায়ার লেভারকুসেন।
কোচ জাবি আলোনসো অবশ্য দলের খেলোয়াড়দের ডেকে দ্রুতই মাঠ ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর পারলেন কই। সমর্থকদের ভালোবাসায় আটকে যেতে বাধ্য হলেন ফ্লোরিয়ান ভির্টজ। এক বছর আগেও অবনমনের শঙ্কায় থাকা ক্লাবটি জার্মানির চ্যাম্পিয়ন। সমর্থকদের আনন্দ তাই আরও বেশি বাঁধভাঙ্গা। মাঠটাও তাদেরই দখলে। নিজেদের উদযাপনটা তাই ড্রেসিংরুমেই করতে হয়েছে লেভারকুসেনকে।
জেএ