আইপিএল কি প্রাণ বাঁচানোর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ? -প্রশ্ন শোয়েবের
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার। এরই মধ্যে চলছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএল চলছে নিজ গতিতেই। ইতোমধ্যে ২০টি ম্যাচও হয়ে গেছে এ পর্যন্ত। মহামারিকালেও আইপিএল চালু রাখার সিদ্ধান্তকে সাবেক পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতার রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত ইউটিউবে তিনি বলেছেন, ‘ভারত কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের আইপিএল বন্ধ করা উচিত। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর না থাকলে এটা চলতে পারে না। ভারতের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা স্থগিতই হওয়া উচিত। পিএসএল বন্ধ হয়ে গেছে বলে আমি এটা বলছি না। আমি মনে করি, জুনেও পিএসএল মাঠে গড়ানো উচিত না।’
শোয়েবের এ ক্ষোভের কারণ, ভারতে গত ২৫ এপ্রিল প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। ভারতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৩৬৩০০ টি, আর প্রাণহানি ঘটেছে ১৯৫১১৬ জন মানুষের। ভারতে বর্তমানে অক্সিজেন ট্যাঙ্কের সঙ্কট প্রকট, সঙ্গে আছে অপ্রতুল হাসপাতাল ব্যবস্থাও। যে কারণে রোগিদেরকে হাসপাতাল থেকে বিনা চিকিৎসায় ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
শোয়েব তাই বলছেন, আইপিএলের অর্থ এখন অক্সিজেন ট্যাঙ্ক কিনতে খরচ করা উচিত কর্তৃপক্ষের। তিনি সম্প্রতি তার ইউটিউব অ্যাকাউন্টে বলেন, ‘আইপিএল অতোটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, এ অর্থ অক্সিজেন ট্যাঙ্ক কিনতে ব্যয় হলে ভালো হয়, মানুষজনকে অন্তত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যায় এতে। এখন আমাদের ক্রিকেট প্রয়োজন নেই, নায়ক, বিনোদনের ও দরকার নেই আমাদের। ভারত ও পাকিস্তানের মানুষজনের প্রাণের সুরক্ষা চাই আমরা। আমি কঠিন শব্দ ব্যবহার করছি, কারণ মানুষের জীবন এখন বিপন্ন।’
পাকিস্তানেও লোকজন বিধিনিষেধ মানছেন না। শোয়েব এ কারণেও বেশ রেগে ছিলেন ভিডিওটিতে।
শোয়েবের দেশ পাকিস্তানেও অবস্থাটা খুব একটা সুখকর নয়। এখন পর্যন্ত প্রায় আট লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়, আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭১১৭ জনে। করোনাভাইরাসের ভারতীয় রূপ আবার দিচ্ছে চোখরাঙানি, যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে পাল্লা দিয়ে।
এ পরিস্থিতিতে পড়া থেকে পাকিস্তানকে রুখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি কারফিউর আকুতি জানান শোয়েব। বলেন, ‘আমি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, রমজানের শেষ ১০-১৫ দিন যেন কারফিউ ঘোষণা করা হয়। ঈদের জন্য শপিংয়ে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষজনের নিজের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হওয়া উচিত এ সময়ে।’
এনইউ/এটি