কোহলিকে ছাপিয়ে মাইলফলক ম্যাচে কলকাতাকে জেতালেন নারিন
ম্যাচটি ছিল সুনীল নারিনের ৫০০তম টি-টোয়েন্টি। এমন মাইলফলক ম্যাচকে তিনি রাঙিয়েছেন অলরাউন্ড নৈপুণ্যে। এক উইকেট শিকারের পর ওপেনিংয়েও এই ক্যারিবীয় ছিলেন বিধ্বংসী। প্রায় ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে তিনি ম্লান করে দিয়েছেন বিরাট কোহলির টানা দ্বিতীয় ফিফটি। যার ওপর ভর করে ১৮৩ রানের লক্ষ্য দেওয়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গতকাল (শুক্রবার) খেলতে নেমেছিলেন স্বাগতিক কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসিরা। তবে চলতি আসরের প্রথম কোনো দল হিসেবে তারা ঘরের মাঠেও হেরেছে। এর আগে প্রথম ম্যাচ চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে হারের পর পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়েছিলে বেঙ্গালুরু। এদিন ঘরের মাঠে ঝোড়ো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও দ্রুত ফিরে যান বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ডু প্লেসি। এরপর কোহলির সঙ্গে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও রজত পাতিদারের দুটি জুটি স্বাগতিকদের বড় পুঁজির ভিত গড়ে দেয়। তবে মাঝে দ্রুত উইকেট পতন না হলে তাদের সংগ্রহ আরও বড় হতে পারত।
— IndianPremierLeague (@IPL) March 29, 2024
এক প্রান্ত আগলে বেঙ্গালুরুকে লম্বা সময় ধরে পথ দেখিয়েছেন। যদিও সেভাবে ভালো বিধ্বংসী সঙ্গ না পাওয়ায় তার ওপরই মূলত ম্যাচ টেনে নেওয়ার পুরো দায়টা পড়েছিল। ৫৯ বলের ইনিংসে ৪টি করে চার-ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ৮৩ রান করেন কোহলি। একাধিক জীবন পেয়েও আজ ১৯ বলে ২৮ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল। ক্যামেরন গ্রিনও অবশ্য বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন, তবে ২১ বলে ৩৩ করে থামেন অজি অলরাউন্ডার। শেষদিকে ৮ বলে দিনেশ কার্তিকের ২০ রানের দারুণ ক্যামিও স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে ১৮২ রানের পুঁজি এনে দেয়।
ম্যাচ জয়ের দিনেও খরুচে ছিলেন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার মিচেল স্টার্ক। প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৩ রান দেওয়ার পর এদিন খরচ করেছেন ৪৭ রান। বিনিময়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। স্বভাবতই স্টার্কের ফর্ম নিয়ে কলকাতাকে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন আন্দ্রে রাসেল ও হারশিত রানা।
প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে ব্যর্থ নারিন বেঙ্গালুরুর রানতাড়ায় ভালো শুরু এনে দিয়েছেন। এক উইকেট শিকারের পর ব্যাটিংয়ে মাত্র ২২ বলে করেন ৪৭ রান। যার কল্যাণে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। আরেক ওপেনার সল্ট করেন ২০ বলে ৩০। এরপর ৩ নম্বরে ক্রিজে এসে ভেঙ্কটেশ আইয়ার করেন ৩০ বলে ৫০। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও আজ জ্বলে উঠেছিলেন। ২৪ বলে তারা অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস কলকাতাকে ১৯ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় এনে দেয়।
ম্যাচের পর মজা করে নারিন বলেন, ‘এটা একটা দারুণ মাইলফলক। আশা করি আরও ৫০০ করতে পারব। এমন পারফরম্যান্স করতে পারলে অবশ্যই ভাল লাগে। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। দলে সাপোর্ট স্টাফরাও যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। পরিশ্রম করলে তার ফল ঠিকই পাওয়া যায়।’ তবে বল হাতে এদিন কিছুটা খরুচে ছিলেন এই রহস্য স্পিনার। ১ উইকেট পেলেও, ৪০ রান দিয়েছেন। এ নিয়ে নারিন বলেন, ‘পাওয়ার প্লেতে বল করা সব সময় কঠিন। সে সময় রান একটু বেশি খরচ হয়েছে। পরে বল করার সময় সেটা মাথায় রাখিনি। তখন সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করি দলের সাফল্যে সব সময় অবদান রাখার। দলের সবাই পাশে থাকলে আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’
এএইচএস