টেস্টে ভরাডুবির নেপথ্যে যে কারণ দেখছেন বাশার
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, তার কাছে মনে হয়েছে ক্রিকেটাররা টেস্ট খেলতে চায় না অথবা অন্য কোনো সমস্যা আছে। অন্যদিকে, বিসিবির সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন অবশ্য দেখছেন এই টেস্টের অসুবিধা নিয়েও। সিলেট টেস্টে দুই ইনিংসেই পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাটাররা।
আজ (মঙ্গলবার) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাশার বলেন, 'এই ম্যাচটায় আমার মনে হয় একটু অসুবিধা হয়েছে সেটা হলো আমাদের শুরুর দিকের ব্যাটিং। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে কিন্তু এখন এরকম উইকেট হয়, আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এধরনের উইকেটে খেলে থাকি। তারপরও ব্যাটাররা মানিয়ে নিতে পারেনি। আমরা দেখেছি এমন উইকেটে ২৫০-২৮০ রানের খেলা হয়। বল সিম করে, মুভমেন্ট হয়।'
বাশারের দাবি লঙ্কানদের বিপর্যয় সামাল দেওয়ার ব্যাটার থাকলেও নেই টাইগারদের, 'সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম দিকের ব্যাটিংটা। ২০ ওভারের পরে কিন্তু ব্যাটিং সহজ হয়ে যায়। আমরা শ্রীলঙ্কার ইনিংসে দেখেছি আমাদের ব্যাটিংয়ের সময়ও দেখেছি। ওদের সেটা সামাল দেওয়ার মতো ব্যাটার ছিল আমাদের সমস্যা হয়েছে আমাদের সামলানোর মত ব্যাটার ছিল না। উইকেটের সাথে মানিয়ে নিয়ে উন্নতি করতে হবে। এ ধরনের উইকেটে সেট হলে কিন্তু পরের দিকে ব্যাটিং সহজ হয়ে যায়। আমরা ধনাঞ্জয়ার ব্যাটিং দেখেছি, কামিন্দুর ব্যাটিং দেখেছি।'
টেস্টে মানসিকতা নিয়ে কোনো সমস্যা দেখেন না সাবেক এই অধিনায়ক, 'না, টেস্ট খেলার মানসিকতা না। টেস্ট ম্যাচ জিতছি তো আমরা সর্বশেষ তিন টেস্ট সিরিজে রানও করেছি। আমার মন্তব্য হলো যখন উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য চ্যালেঞ্জিং থাকে তখন নিজের ব্যাটিংকে পরিবর্তন করা, মানিয়ে নিয়ে ব্যাট করা এটাই আমরা করতে পারছি না।'
এর আগে মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, 'সমস্যা হচ্ছে হারাটা নিয়ে না, সমস্যা হচ্ছে যেভাবে তারা হেরেছে। যেভাবে তারা খেলেছে, তাদের এই মাইন্ডসেট, এটিটিউড, শট সিলেকশন এটা জঘন্য বিচ্ছিরি ছিল দেখতে। মনে হয়েছে তারা খেলতে চায় না এই ফরম্যাটটা। অথবা অন্য কোনো সমস্যা।'
পাপন আরও জানালেন দল ওরকম খারাপ অবস্থাতে যায়নি, 'সবার কাছে যেমন লেগেছে আমার কাছেও তেমন লেগেছে ভালো লাগার কোনো কারণ নেই। আসলে এখানটায় কয়েকটা ব্যাপার আছে আমার মতামতটা বলতে পারি। প্রথম কথাটা হচ্ছে আমি এখানে হারা জেতা নিয়ে চিন্তিত না। হঠাৎ করে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা যখন চলে যায় নতুন একটা দল আসে তারা ৪-৫ বছর স্ট্রাগল করেই। সেদিক থেকে বলব আমাদের দলে ওরকম খারাপ অবস্থা হয়নি।’
এসএইচ/এফআই