তিন ফরম্যাটের রাজত্ব ফিরে পেল ভারত
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের শীর্ষে থেকেই ২০২৩ সাল শেষ করেছিল ভারত। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর স্থান খোয়াতে হয় রোহিত-কোহলিদের। সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে ভারত সেই অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। এর মাধ্যমে আবারও তিন ফরম্যাটের রাজত্ব উঠছে রোহিত শর্মাদের হাতে।
অথচ ইংলিশদের বিপক্ষে তাদের সিরিজের শুরুটা হয়েছিল হায়দরাবাদে ২৮ রানে হার দিয়ে। এরপর স্বাগতিক ভারত ক্রমান্বয়ে ভাইজাগ, রাজকোট, রাঁচি এবং ধর্মশালায় সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে জিতেছে অনেকটা একপেশে দাপট দেখিয়ে। চতুর্থ টেস্ট জয়ের পরই ভারত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় উঠেছিল। পঞ্চম ম্যাচ জয়ের পর তারা সাদা পোশাকে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানও দখল করেছে। আগে থেকেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সবার ওপরে আছেন রোহিতরা।
এর আগে বছরের শুরুতে ভারতকে হটিয়ে এক নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে উঠেছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তাদেরও টপকাতে রোহিতরা রেটিং পয়েন্ট পেয়েছে ১২২। দুইয়ে নেমে যাওয়া প্যাট কামিন্সদের পয়েন্ট ১১৭। ভারতের কাছে সিরিজজুড়ে পাত্তা না পাওয়া ইংলিশরা তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১১১। এদিকে, টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের টেবিলে দুইয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড ১১১ রেটিং টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বরে অবস্থান করছে। বর্তমানে কিউইদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলছে অজিবাহিনী। ক্রাইস্টচার্চে চলমান দ্বিতীয় টেস্টে কামিন্সরা জিতলে আবার, নম্বর ওয়ান থেকে ভারতকে হটিয়ে দিতে পারে। বর্তমানে তারা সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।
— ICC (@ICC) March 10, 2024
বেন স্টোকসদের বাজবলকে উড়িয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে রোহিত শর্মা বাহিনী। এর পরপরই ভারতীয় ক্রিকেটারদের টেস্ট ক্রিকেটে উৎসাহিত করতে ‘টেস্ট ক্রিকেট প্রণোদনা স্কিম’ চালুর ঘোষণা দিলো দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় এই প্রণোদনার ঘোষণা দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে তাদের দুই ক্রিকেটার ইশান কিষাণ ও শ্রেয়াস আইয়ারের বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঘরোয়া ক্রিকেট বাদ দিয়ে আসন্ন ২০২৪ আইপিএলের প্রস্তুতি শুরুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। এরপরই অভিযোগ উঠেছিল, ক্রিকেটাররা আইপিএলকে কেন্দ্র করে টি–টোয়েন্টিতে যতটা মনোযোগী, টেস্ট ক্রিকেট কিংবা ঘরোয়াতে তেমন মনোযোগী না। এমন আলোচনার মধ্যেই বিশেষ প্রণোদনার ঘোষণা দিলো বিসিসিআই।
আরও পড়ুন
মৌসুমে ৯ টেস্ট ধরে বাড়তি বোনাসের একটি তালিকা দিয়েছে বিসিসিআই। তবে কোনো খেলোয়াড় মৌসুমে ৫০ শতাংশের কম টেস্ট (৪ ম্যাচের কম) খেললে এই অর্থ পাবেন না। ৫০ শতাংশের বেশি টেস্ট (৫ ও ৬ ম্যাচ) খেলা ক্রিকেটাররা ম্যাচ প্রতি পাবেন ৩০ লাখ রুপি। ৭৫ শতাংশের বেশি টেস্ট (৭ বা এর বেশি ম্যাচ) খেলা খেলোয়াড়রা ম্যাচ প্রতি পাবেন ৪৫ লাখ রুপি। এ ছাড়া প্রতি টেস্টে ১৫ লাখ রুপি ম্যাচ ফি তো থাকছেই।
যার মানে, মৌসুমে ৭৫ শতাংশের বেশি টেস্ট খেললে একটি টেস্ট থেকে ম্যাচ ফি ও বাড়তি অর্থ মিলিয়ে ৬০ লাখ রুপি আয় করতে পারবেন একজন ক্রিকেটার। একাদশের বাইরে স্কোয়াডে থাকা অন্য খেলোয়াড়রাও পাবেন বাড়তি অর্থ। সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি টেস্টের জন্য ম্যাচ প্রতি ১৫ লাখ, ৭৫ শতাংশের বেশি টেস্টের জন্য ম্যাচ প্রতি সাড়ে ২২ লাখ রুপি পাবেন খেলোয়াড়রা।
এএইচএস