বিতর্কিত নটআউট নিয়ে ম্যাচ রেফারির দ্বারস্থ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। সেই উত্তাপে নতুন করে রসদ যোগ করল সৌম্য সরকারকে নটআউট দেওয়া থার্ড আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলের বিতর্কিত একটি সিদ্ধান্ত। যার রেশ অনেকদূর পর্যন্ত যাবে, সেটি বোঝাই যাচ্ছিল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কানদের প্রতিনিধি হয়ে আসা সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ জানালেন, তারা ম্যাচ রেফারির দ্বারস্থ হবেন।
সৌম্যর নটআউট বিতর্ক নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নেওয়াজ বলেন, ‘মাঠ আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন। আমি জানি যে টিভি আম্পায়ারকে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হলে অকাট্য প্রমাণ লাগবে। এটা পরিষ্কার, একটা স্পাইক ছিল। আমরা সবাই এটা বড় পর্দায় দেখেছি। আমরা ম্যাচ রেফারির কাছে বিষয়টি নিয়ে যাব যে আসলে এখানে কী হয়েছে। আমাদের কাছে ফুটেজ আছে, সেটা দিয়ে কোনো কিছু বলা সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ঘটনাটি ঘটে। বিনুরা ফান্দান্দোর শর্ট লেংথের বলটা ঠিকঠাক খেলতে পারেননি সৌম্য সরকার। উইকেটের পেছনে কুশাল মেন্ডিসের গ্লাভসে যেতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার গাজী সোহেল। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়েছিলেন সৌম্য। রিপ্লেতে আল্ট্রা-এজে স্পষ্ট স্পাইক দেখা গেছে। যা দেখে আউট ভেবে সাজঘরের পথ ধরেছিলেন সৌম্য।
আরও পড়ুন
অবশ্য এরপরই থার্ড আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল জানান, স্পাইক দেখানোর সময় বল ও ব্যাটের মধ্যে ‘দূরত্ব’ রয়েছে। তাই মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দেন তিনি। ফলে রিভিউ নিয়ে সেই যাত্রায় বেঁচে যান সৌম্য।
যদিও টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে সন্তুষ্ট হতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। অনফিল্ড আম্পায়ারকে ঘিরে ধরে তর্কে জড়ায় তারা। মাঠে যখন শিষ্যরা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, মাঠের বাইরে তাদের কোচ ক্রিস সিলভারউডও বসে থাকেননি। ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে শরণাপন্ন হন চতুর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদের। যদিও তাতে কোনো কিছু বদলায়নি। এরপরই খেলা আবার শুরু হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটিতে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিকরা। এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩ রানে সফরকারীদের কাছে হেরেছিল শান্ত বাহিনী।
এফআই/এসএসএইচ