ফাইনালের নায়ক মায়ার্স
এর আগে দু’বার ফাইনালে উঠেছিল বরিশাল। একবার বরিশাল বুলস নামে। আরেকবার ফরচুন বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির নামে। তবে কোনোবারই তাদের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরা হয়নি। তৃতীয়বারের চেষ্টায় বিপিএলের শিরোপা গেল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভাগে। আর তাতেই ভাঙল কুমিল্লার পঞ্চম শিরোপার স্বপ্ন।
বরিশালের প্রথম শিরোপা জয়ের দিনে নায়কের ভূমিকায় থাকতে পারে অনেকেরই নাম। তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ব্যাটিং, সাইফুদ্দিনের বোলিং বিশেষভাবে আলোচনার দাবি রাখে। তবে এসব ছাপিয়ে ফাইনালের নায়ক হলেন কাইল মায়ার্স। বল হাতে প্রথম ওভারেই সুনীল নারিনকে ফিরিয়ে দিয়ে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রানেই নেন এক উইকেট।
এরপর ব্যাট হাতেও এই তারকা ঝলক দেখিয়েছেন। ৫ চার আর ২ ছয়ে সাজানো তার ৩০ বলে ৪৬ রানের ইনিংস বরিশালকে নিয়ে যায় জয়ের আরও কাছে। মায়ার্স যখন ফিরে যান, তখন জয়ের অনেকটাই কাছাকাছি তামিম ইকবালের দল। আন্দ্রে রাসেলের এক ওভারে ২০ রান নিয়ে জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দেন মায়ার্স। কুমিল্লার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায় সেখানেই। পরে মায়ার্স ফিরে গেলেও সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত মায়ার্সের কল্যাণেই শিরোপার স্বাদ পেল ফরচুন বরিশাল।
আরও পড়ুন
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে। যা বরিশাল ৬ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়েছে। মায়ার্স ছাড়াও উদ্বোধনী ব্যাটিংয়ে বরিশালের কাজ সহজ করে দিয়ে যান ৩৯ রান করা অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এছাড়া ওপেনিংয়ে নামা আরেক ব্যাটার মেহেদী মিরাজ ২৯ রান করেন।
জেএ