যুক্তরাষ্ট্রে মেসিদের আরও দুই ম্যাচ, সূচি চূড়ান্ত
দুই ম্যাচ বাতিলের পর হাজির চারটি ম্যাচ। চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথের ফলাফল পাচ্ছে আর্জেন্টিনা। কথাগুলো এভাবে বললে খুব বেশি অন্যায় হয়না। লিওনেল মেসি হংকংয়ে খেলতে পারেননি বলে চীন তাদের দেশে আর্জেন্টিনার খেলা স্থগিত করে দেয়। এই সুযোগটাই নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্চের নির্ধারিত দুই ম্যাচ আয়োজন করছে আটলান্টিক পাড়ের দেশটি।
তবে আর্জেন্টিনার দরকার ছিল আরও দুই ম্যাচ। কোপা আমেরিকার আগে জুনে তারা দুই ম্যাচ খেলতে চায় এমন খবর আগেই বেরিয়েছিল। দরকার ছিল ভেন্যু। তাতে আবারও এগিয়ে এলো যুক্তরাষ্ট্রই। মেসির ক্লাব ফুটবল চলছে মায়ামিতে। কোপা আমেরিকাও হবে যুক্তরাষ্ট্রেই। জুনের সেই দুই ম্যাচও হবে মার্কিন ভূমিতে।
সবমিলিয়ে কোপা আমেরিকার আগে আর্জেন্টিনা খেলবে চার ম্যাচ। এল সালভাদর ও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ আগেই নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। এবার তারা নিশ্চিত করেছে ইকুয়েডর ও গুয়াতেমালার বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথাও। এই দুই ম্যাচ হবে জুন মাসে।
তবে এখানেই শেষ না। জুনের সেই দুই ম্যাচের জন্য ভেন্যু এবং তারিখটাও চূড়ান্ত করে নিয়েছে আর্জন্টাইন ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এএফএ জানায়, আগামী ৯ জুন শিকাগোর সোলজার ফিল্ডে ইকুয়েডরের বিপক্ষে এবং ১৪ জুন ল্যান্ডওভারের ফেডেক্স ফিল্ডে গুয়াতেমালার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে তারা।
এর আগে ২৩ মার্চ ফিলাডেলফিয়ায় এল সালভাদর এবং ২৬ মার্চ লস অ্যাঞ্জেলসে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। মার্চে হতে যাওয়া এই ম্যাচ দুটিই চীনে খেলার কথা ছিল। যেখানে মেসিদের প্রতিপক্ষ ছিল আইভরি কোস্ট ও নাইজেরিয়া। কিন্তু মেসি হংকংয়ে খেলেননি বলে, চীনও সরে যায় এসব ম্যাচের আয়োজন থেকে।
চীন নিজেদের সরিয়ে নিলে তাৎক্ষণিকভাবে আর্জেন্টিনা বিকল্প ভেন্যুর সন্ধান চালাতে শুরু করে। নির্ধারিত দুই প্রতিপক্ষকে পাওয়া না গেলে অন্য কোনো দলকে রাজি করানো যায় কি না, সেই ভাবনাও ছিল তাদের। এখন অবশ্য দুইয়ের বদলে নিশ্চিত হয়েছে চারটি ম্যাচ।
কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা নিজেদের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করবে ২১ জুন। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে আটলান্টায় মেসির প্রতিপক্ষ কানাডা কিংবা ত্রিনিনাদ অ্যান্ড টোবাগো।
জেএ