কোচ সালাউদ্দিনকে নিয়ে যা বললেন লিটন
কুমিল্লা পঞ্চমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে। এর আগে চারবার ফাইনালে উঠে সবকটিতেই শিরোপা জিতে নিয়েছে দলটি। আর শিরোপার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে সবসময় কাজ করে থাকেন দলটির প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তরুণ ক্রিকেটার তো বটেই, অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের কাছেও শ্রদ্ধার পাত্র কোচ সালাউদ্দিন। কুমিল্লার এবারের অধিনায়ক লিটন দাসের কাছেও তিনিই সেরা কোচ।
গতকাল কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন বলেন, ‘আমার মনে হয় রংপুর তো কুমিল্লার মতনই কাছাকাছি। তারাও একই কোচিং স্টাফ, প্রায় একই প্লেয়ার নিয়ে অনেক দিন যাচ্ছে। আমার মনে হয় (সালাউদ্দিন) স্যারের কিছু ধরাবাঁধা নিয়ম আছে স্যার এক প্লেয়ারকে অনেক দিন সুযোগ দেয়। এটা স্বাভাবিক হওয়া উচিত। আপনি একটা প্লেয়ারকে এক সিজনে জাজ করতে পারবেন না।'
কোচ সালাউদ্দিনের মানসিকতা নিয়েও প্রশংসা করেছেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন, 'স্যার দেখে সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলে। আমার মনে হয় এদিক দিয়ে ভালো। তার থেকে বড় জিনিস আমরা সবাই খুবই ফ্রেন্ডলি। আমাদের ম্যানেজমেন্ট থেকে যদি কোনো ছেলে নতুন আসে সে কখনওই বুঝবে না যে আমরা এত সিনিয়রদের সাথে বসে আড্ডা মারতেসি। সবাই অনেক ফ্রি, স্যার অনেক ফ্রি মাইন্ডের। একটা প্লেয়ারকে যদি স্বাধীনতা দেন খেলো, মজা করো। তারা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এদিক দিয়ে সালাউদ্দিন স্যার বেস্ট।’
বড় রান চেজ করে কুমিল্লার এমন জয়ের পেছনে বড় অবদান ছিল তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে লিটনের ১৪৩ রানের বড় জুটির। দুর্দান্ত এক ব্যাটিং প্রদর্শনীই এদিন দেখেছে মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম। নিজের সঙ্গীর এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ লিটন দাস নিজেও।
তাওহিদকে প্রশংসায় ভাসিয়ে লিটন বললেন, ‘আমার যেটা মনে হয় ও ভালো বলটাকেও ছয় মারতে পারে যেটা খুব কম ব্যাটারই পারে আমাদের দেশে। স্বাভাবিক যেকোনো বোলার যে ফরম্যাটেই হোক না কেন উইকেটেই বল করবে। আর সে উইকেটের বলটাই বেশি ভালো মারে। শুধু ও না, যারা বিশ্ব ক্রিকেটে সফল সবাই স্টাম্পের বল ভালো খেলে। আমার মনে হয় এটা ওর সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট।'
লিটন বললেন বড় ছয়ের কথাও, 'দেখতে ছোটখাটো হলেও বড় বড় মারতে পারে। এটাও ওর জন্য একটা আলাদা (সুবিধা)। যেটুকু আমি ওকে সামনে থেকে দেখি সে ক্রিকেট নিয়ে অনেক চিন্তিত। ও অনেক পরিশ্রমী। নরমালি খুব কম মানুষই এত জিমে যায়। ও অফ সময়ে খালি জিমেই থাকে। আমার মনে হয় এটা খুবই ভালো একটা দিক।’
এসএইচ/জেএ