বিপিএলের টিকিট যেন সোনার হরিণ
বিপিএলের প্লে-অফের প্রথম দিনে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলার গ্যালারিতে দর্শকের কমতি নেই। প্রায় ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে কতখানি বাকি তা খুব সহজেই অনুমান করা যায়। তবে স্টেডিয়ামের বাইরের চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় হাজারখানেক দর্শক ঘুরছেন স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায়। বিপিএলের টিকিটের আশায় কখনো ইনডোর স্টেডিয়াম আবার কখনো স্টেডিয়ামের টিকিট বুথে ছোটাছুটি করছেন।
তবে এতসবের মাঝে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে মানুষের হাতে হাতে। কখনো কখনো জটলা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, টিকিটের সন্ধান মিলবে এখানে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, শেষ সময়ে এসে টিকিট প্রতি দাম চাওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। এরপরেও অবশ্য টিকিট কিনতে আপত্তি নেই তাদের।
কুমিল্লার জার্সিতে জড়ো হওয়া একদল ভক্তের কাছ থেকে জানা যায়, আজ (শুক্রবার) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় ঘুরছেন তারা। তবে বিভিন্ন প্রচেষ্টার পরেও সোনার হরিণ নামক টিকিট মেলেনি। খানিকটা ক্ষুব্ধ হয়েই জানালেন, ‘আর পারছি না ভাই। এবার ইনডোরে (ইনডোর স্টেডিয়াম) টিকিট না পেলে চলে যেতে হবে।’
এরপরেই জানালেন টিকিট পেয়েছেন দুই-একবার। তবে সেটা নাগালের বাইরে। গায়ের মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে একেকটি টিকিট। বিষয়টি এখন অতি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যার কারণে আপত্তি করছেন না কেউই। আবার কারো কারো অভিযোগ, টিকিট বিক্রির নির্দিষ্ট বুথ থেকে খানিক পরপরই টিকিট ছেড়ে আবার তা বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
অবশ্য টিকিটের সন্ধানে মিরপুরে ভিড় জমেছে ভোরের আলো ফোটার পরপরই। দিনের আলো ফোটার পর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেছেন অনেকেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সেই ভিড় পরিণত হয়েছে জনস্রোতে। দিনের প্রথম ম্যাচ শেষেও এখনো টিকিট নামের সোনার হরিণের অপেক্ষায় তারা।
জেএ/এফআই