প্রথম সপ্তাহেই চুক্তির ৭০ শতাংশ অর্থ ক্রিকেটারদের পকেটে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। তবে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে খেলোয়াড়দের চুক্তির টাকার প্রদানকে কেন্দ্র করে। বিপিএল মাঝে বন্ধই হয়ে পড়েছিল এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে। এছাড়া প্রায় সব আসরেই শোনা যায়, আগের আসরের বেতন সংক্রান্ত জটিলতার কথা। এমনকি দশম বিপিএল শুরুর আগেও উঠেছিল চুক্তির পুরো অর্থ না দেওয়ার অভিযোগ।
তবে সেদিক থেকে ব্যতিক্রম পাকিস্তানের সুপার লিগ। পিএসএল শুরুর ১ সপ্তাহের মাঝে টুর্নামেন্টের প্রায় সকল খেলোয়াড়দের চুক্তির ৭০ শতাংশ অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অংশ হিসেবেই প্রথম সপ্তাহে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে অর্থ।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, এমন চুক্তির বাইরেও খেলোয়াড়দের দৈনিক ভাতা প্রদান করছে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। প্রতিটি খেলোয়াড়কেই দৈনিক পঞ্চাশ ডলারের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানে বর্তমানে প্রতি ডলারের বিপরীতে ২৮১ পাকিস্তানি রূপি বিনিময় হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে দৈনিক ১৪ হাজার রূপি পাচ্ছেন একেকজন ক্রিকেটার।
তবে এই হিসাব কেবলমাত্র লিগ পর্বের জন্য প্রযোজ্য। টুর্নামেন্টের প্লে-অফ পর্বে গেলে দলগুলোকে এই ভাতার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। এছাড়া বাকি থাকা অর্থও টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ারন দুই সপ্তাহের মাঝে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে টুর্নামেন্টের এক সপ্তাহ পরে এসে নেওয়া হয়েছে নতুন এক সিদ্ধান্ত। এর পরিপ্রেক্ষিতে এখন থেকে প্রতিটি দলের মালিক নিজেদের খেলা চলাকালে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ডাগআউটে থাকতে পারবেন। তবে এসময় তিনি সেখান থেকে নড়তে পারবেন না। কোনো কারণে একবার ডাগআউট ছাড়লে, সেখানে আবার এসে বসার সুযোগ থাকছে না।
এছাড়া দলগুলোর মালিকপক্ষের কেউ ডাগআউটে বসলে স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচসহ কোনো প্রকার যোগাযোগ করার মত ডিভাইস সঙ্গে করে নিতে পারবেন না। তবে এক্ষেত্রে আগেই পিএসএল কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি আনতে হবে।
জেএ