আম্পায়ারকে অন্য চাকরি করতে বললেন ক্ষুব্ধ হাসারাঙ্গা
শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচে প্রায় কাঁধ সমান উঁচুতে বল উঠলেও ‘নো’ বল দেননি আম্পায়ার। যেটি খালি চোখেও নো বলই মনে হবে। পরে ম্যাচটিও লঙ্কানরা হেরে যায় ৩ রানে। ওই সময় লেগ আম্পায়ারের দায়িত্ব থাকা এডওয়ার্ড হানিবলকে ম্যাচ শেষে এ নিয়ে তোপ দাগেন লঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এমনকি আম্পায়ারিং ছেড়ে এই তারকা হানিবলকে অন্য চাকরি করারও পরামর্শ দিয়েছেন।
ম্যাচের শেষ তিন বলে জয়ের জন্য লঙ্কানদের দরকার ছিল ১১ রান। এ অবস্থায় বোলিংয়ে থাকা আফগান পেসার ওয়াফাদার মোমান্দ চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্প ও মিডল স্টাম্পের মাঝবরাবর ফুলটস করেন। কিন্তু বলটি এতটাই উঁচুতে ছিল যে নো বল দেওয়া ছিল স্বাভাবিক। লঙ্কান ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস প্রায় কাঁধ সমান উঁচু দিয়ে বলটি চলে যায়। কিন্তু স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার হানিবল সেটি ‘নো বল’ দেননি।
ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি কামিন্দুর কোমরের চেয়ে বেশি উচ্চতায় ছিল। আইন অনুযায়ী সেটি ‘নো বল’। ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী এটি ‘নো বল’ ছিল। কিন্তু স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার হানিবল ‘নো বলে’র সিদ্ধান্ত দেননি। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে লঙ্কান দলনেতা হাসারাঙ্গাকে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়।
পরে আম্পায়ার হানিবলের নাম না বললেও ক্ষুব্ধ হাসারাঙ্গা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন কিছু হওয়া উচিৎ নয়। (কোমর উচ্চতার) খুব কাছাকাছি থাকলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু বলটা অনেক ওপর দিয়ে যাচ্ছিল...আরেকটু ওপরে থাকলে ব্যাটসম্যানের মাথায়ও লাগতে পারত। এখন সেটা যদি দেখতে না পায়, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সেই আম্পায়ার মানানসই নন। তিনি অন্য কোনো কাজে থাকলে সেটা খুব ভালো হতো।’
আরও পড়ুন
এর আগে খেলা চলাকালেই ব্যাটসম্যান কামিন্দু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘নো বল’ দেওয়ার রিভিউ করেছিলেন। কিন্তু আইসিসির বর্তমান প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী আউটের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, আম্পায়ারের এমনসব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে খেলোয়াড় রিভিউ নিতে পারবেন না। যা নিয়েও নিজের ক্ষোভ জানাতে ছাড়েননি হাসারাঙ্গা।
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) February 22, 2024
তিনি বলেছেন, ‘আগে এসব সিদ্ধান্তে রিভিউ নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু আইসিসি তা বিলোপ করেছে। আমাদের খেলোয়াড় রিভিউ চেয়েছিল। তৃতীয় আম্পায়ার যদি পায়ের নো বল পরীক্ষা করতে পারেন, তাহলে এমন সব নো বলও তার পরীক্ষা করা উচিৎ। কেন তিনি সেটি পারেন না, তার কোনো যুক্তি নেই। কিন্তু তারা (মাঠের আম্পায়ার) সেটিও করেননি। তাই আমি ঠিক জানি না, সে সময় তার (স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার হানিবল) মনের মধ্যে কী চলছিল।’
উল্লেখ্য, অভিযোগ ওঠা আম্পায়ার হানিবল নিজেও এক সময় শ্রীলঙ্কার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন। যদিও এখন ভূমিকা বদলে তিনি একজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার। ইতোমধ্যে আম্পারিংয়ে তিনি বেশ অভিজ্ঞও বলা যায়। ইতোমধ্যে ৩টি টেস্ট, ২৬টি ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন হানিবল।
এএইচএস