টানা ১০ ম্যাচ হেরে নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙলো ঢাকা
জয় দিয়ে আসর শুরু করা দুর্দান্ত ঢাকা এখন যেন জিততেই ভুলে গেছে! যেখানে বড় দায় দুর্দান্ত ব্যাটারদের। আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষেও পাল্টায়নি ঢাকার ব্যাটিংয়ের চিত্র। আরও একবার প্রতিপক্ষ বোলারদের সামনে আসহায় আত্মসমর্পণ করলেন নাঈম শেখ-সাইফ হাসানরা। অল্প পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারেননি বোলাররাও। ফলে টানা দশম ম্যাচে হেরেছে ঢাকা। যা বিপিএল ইতিহাসে কোনো দলের টানা হারের রেকর্ড।
আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তুলেছে ঢাকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার ২ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ফেরেন এনামুল হক বিজয়। টাইগার্স অধিনায়ককে বোল্ড করেন শরিফুল ইসলাম। ব্যর্থ হয়েছেন আরেক ওপেনার এভিন লুইসও। এই দুই ওপেনারকেই ফিরিয়েছেন শরিফুল।
১৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর পারভেজ হোসেন ইমন ও শাই হোপের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দেয় খুলনা। ৩০ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন ইমন। হোপের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ বলে ৩২ রান। শেষদিকে আফিফ হোসেনের ২১ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংসে সহজেই জয়ের সমীকরণ মিলিয়েছে খুলনা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ঢাকার। ১১ বল খেলে ৫ রান করে নাঈম সাজঘরে ফিরলে ভাঙ্গে ১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে পুরোপুরি ব্যর্থ সাইফ হাসান। এই টপ অর্ডার ব্যাটার গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন।উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি অ্যাডাম রসিংটন। ১২ বলে ১৮ রান করে এই ওপেনার সাজঘরে ফিরলে ২৭ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় ঢাকা।
এরপর অ্যালেক্স রস ও ইরফান শুক্কুর দলের হাল ধরেন। তবে দুজনই সমান ২৫ রান করে আউট হয়েছেন। দলীয় শতক স্পর্শ করার আগেই ৬ ব্যাটারকে হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিল ঢাকা। তবে শেষদিকে মোসাদ্দেকের ২৬ রানের ইনিংসে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় তারা।
এইচজেএস