সাফে আরেকটি ‘টস’ ও টিটুর ‘দ্বৈত’ অভিজ্ঞতা
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ‘টস’ কাণ্ড নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। টসের মাধ্যমে ফুটবল শিরোপা নির্ধারণের নজির নেই বললেই চলে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে টস এবারই প্রথম নয়। এর আগেও সাফে টস হয়েছে; সেটা খোদ ঢাকাতেই।
২০১৮ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা ছিল একই গ্রুপে। মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ ড্র হয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা একই স্কোরলাইনে হেরেছিল। এতে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট, গোল ব্যবধান, হেড টু হেড সবই সমান ছিল। গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দল নির্ধারণ হয়েছিল টসে। মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে জিতে ঐ টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে উঠেছিল। ভাগ্যের জোরে টসে জেতা মালদ্বীপই শেষ পর্যন্ত ঐ আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়।
গ্রুপ পর্যায় থেকে নক আউট পর্বে যেতে টসের নিয়ম থাকে অনেক টুর্নামেন্টে। ২০১৮ সালে সাফে যেমনটা হয়েছিল। ২০২১ সালে কমলাপুর স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপে ঘটেছিল বিশেষ ঘটনা। শেখ রাসেল ও আবাহনীর নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। দুই দলের মধ্যে গ্রুপের শেষ ম্যাচ হয় ড্র। তাই গ্রুপ সেরা নির্ধারণের জন্য খেলা গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে। সেই ম্যাচে দুই দল মিলে মোট ৩০ শট নিতে হয়েছিল। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সেই সময় কোচ ছিলেন সাইফুল বারী টিটু।
ঘটনা চক্রে সাইফুল বারী টিটু এখন বাংলাদেশ নারী দলের কোচ। গতকালের ঘটনায় তিনি আগের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করলেন, 'ঐ ম্যাচে দুই দলের ১১ জন খেলোয়াড় প্রথম শট নেয়ার পরও ম্যাচে সমতা ছিল। এরপর সাডেন ডেথ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এগারো জন ফুটবলার যারা মাঠে ছিলেন ( শেষ বাশি বাজার সময় ) তারাই আবার শট নিচ্ছিলেন। পুনরায় কয়েকটি শট নেয়ার পর ম্যাচটি নিষ্পত্তি হয়।’ ঐ ম্যাচে টিটুর শেখ রাসেল শেষ পর্যন্ত জিতেছিল।
ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক উভয় অঙ্গনে দুই দলের ২২ জনের পেনাল্টি শট নেয়ার স্বাক্ষী হলেন একমাত্র সাইফুল বারী টিটু। বাংলাদেশের অন্য কোনো ফুটবলার বা কোচের কারো এই অভিজ্ঞতা নেই। বিষয়টি নিয়ে টিটু বলেন, 'আসলেই এটা বিশেষ ঘটনা। এ রকম বিষয় খুবই কদাচিৎ ঘটে।’
শেখ রাসেল-আবাহনী ম্যাচে প্রথম ১১ শটে মিস ছিল কয়েকটি। গতকাল বাংলাদেশ ও ভারত অ-১৯ নারী দলের ১১ শটই গোল হয়েছে। কোনো দলই মিস করেনি। এটিও বিশেষ এক ঘটনা।
এজেড/এইচজেএস