পাকিস্তানকে অল্প রানে আটকে সেমির আশা জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ
উইকেটের পেছনে আশিকুর রহমান শিবলীর ক্যাচ মিস বাদ দিলে ১০০ তে ১০০ই পাবে বাংলাদেশ। একেবারে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ব্রেকথ্রু। সঙ্গে দরকারমতো পেস এবং টার্ন। সঠিক সময়ে, সঠিক কাজটাই করে গিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাতে পাকিস্তানকেও আটকে রাখা গিয়েছে অল্প রানের মধ্যেই। সেমিফাইনালে যাওয়ার আশাও তাই টিকে রইল প্রথম ইনিংস শেষে।
বেনোনিতে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। পিচে ঘাস থাকায় অধিনায়কের সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ ছিল না। দিনশেষে মাহফুজুর রাব্বির এই সিদ্ধান্তেরই জয় হলো। যদিও তাতে বড় কৃতিত্ব বোলার রোহানাত-দৌলা বর্ষন এবং শেখ পারভেজ জীবনের। দুজনের আঁটসাঁট বোলিং এবং উইকেট শিকারের সুবাদে ১৫৫ রানেই আটকেছে পাকিস্তান।
দুই পেসার ইকবাল হোসেন ইমন এবং মারুফ মৃধাকে দেখেশুনেই খেলেছেন পাকিস্তানের ওপেনাররা। রানের গতি খুব বেশি না হলেও সমীকরণের কথা ভেবে কিছুটা চিন্তায়ই পড়তে হচ্ছিল বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের রান বাড়লেই বিপদ বাড়তো বাংলাদেশের। সেই দুশ্চিন্তা থেকে উদ্ধার করেছেন আগের ম্যাচের নায়ক বর্ষন। নিজের স্পেলের দ্বিতীয় ওভারেই বিপজ্জনক ওপেনার শামিল হুসেইনকে বোল্ড করেন তিনি। দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে বোকা বনে যান ১৯ রান করা এই ওপেনার।
আরও পড়ুন
এরপর আযান আওয়াইজ এসেছিলেন। তবে বর্ষনেরই বাড়তি পেসের বাউন্স বলে আটকা তিনি। ফর্মে থাকা এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। পাক অধিনায়ক সাদ বেগ ধরে খেলার চেষ্টায় ছিলেন, তবে আরিফুলের দুর্দান্ত রানআউটে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকেও। তবে তখনো একপ্রান্ত আগলে ছিলেন আরেক ওপেনার শাহজাইব খান।
দলীয় ৭৬ রানে তাকেও প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়। এবার উইকেট শিকারী জীবন। ২৬ রান করা শাহজাইব ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ক্রমাগত ভাল বোলিং করেছেন জীবন। ফলাফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। ৮৭ রানে আহমাদ হাসান আউট হন বর্ষনের বলে। এরপরেই ৮৯ রানে নিজের ২য় উইকেট শিকার করেন জীবন। হারুন আরশাদ ফেরেন আহরারের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
সপ্তম উইকেটে অবশ্য বাংলাদেশের চিন্তা বাড়িয়েছেন আরাফাত মিনহাস এবং আলী আশফান্দ। দুজনের জুটি পাকিস্তানের ইনিংস টেনে নেন ১৩২ পর্যন্ত। এবার আরও একবার ত্রাতার ভূমিকায় বর্ষন। আশফান্দও ফিরেছেন আহরারকে ক্যাচ দিয়ে। এরপর তাদের ইনিংস আর বড় হয়নি।
বর্ষন আর জীবন আরও একটি করে উইকেট নিলে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হওয়াটা সময়ের ব্যাপার হয়ে যায়। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হয়েছেন মিনহাস। টাইগার অধিনায়ক রাব্বির বলে যখন আউট হয়েছেন তখন পাকিস্তানের স্কোর ১৫৫।
জেএ