‘টেস্ট ক্রিকেটের ত্রাণকর্তা হবে জোসেফ’
ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণ ধরা হয় টেস্ট ক্রিকেটকে। অথচ সময়ের পরিক্রমায় জৌলুস হারিয়েছে সাদা পোশাকের ক্রিকেট। এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে। অর্থের ঝন-ঝনানি আর চার-ছক্কার রোমাঞ্চের মধ্যে যেন লাইফ সাপোর্টে লাল বলের ক্রিকেট!
এই মুহুর্তে ক্রিকেটে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলছে— বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ টোয়েন্টি ও আরব আমিরাতে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি (আইএল টি-টোয়েন্টি)। এসব লিগকে প্রধান্য দেওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অস্ট্রেলিয়া সফরের টেস্ট দলে ছিলেন না অনেক নিয়মিত মুখ। ফলে সুযোগ পায় ৭ জন নতুন মুখ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের টেস্টের প্রতি এমন অনীহা দেখে সিরিজ শুরুর আগে স্টিভ ওয়াহ বলেছিলেন, ‘যদি আইসিসি বা কেউ দ্রুত এগিয়ে না আসে, তাহলে টেস্ট ক্রিকেট আর টেস্ট ক্রিকেট থাকল না। কারণ, আপনি সেরা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে নিজেকে “টেস্ট” (পরীক্ষা) করছেন না।’
অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ অবশ্য ওয়াহর মনে কিছুটা আশা জাগিয়েছে। বিশেষ করে সিরিজের শেষ টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের রূপকথার জয় তার কাছে টেস্ট ক্রিকেটের পালে নতুন করে হাওয়া দেওয়ার মতো। এই জয়ে যার সবচেয়ে বেশি অবদান, সেই শামার জোসেফকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ওয়াহ।
তিনি বলেন, 'টেস্ট ক্রিকেটের মতো কিছুই নেই এবং এই মানুষটিই ক্রিকেটের শুদ্ধতম সংস্করণের ত্রাণকর্তা হতে পারে। খেলায় “সিন্ডারেলা গল্প” দুর্লভ, কিন্তু তরুণ একজনের জন্য এটি ছিল মহাকাব্যিক ব্যাপার। যে একা হাতে ক্যারিবীয় এবং বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট অনুসারীদের আবেগ পুনর্জীবিত করেছে। অনেক অভিনন্দন, শামার জোসেফ।’
জোসেফও টেস্টের প্রতি তার ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন। গতকাল ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করেছেন এই ক্যারিবীয় পেসার। ম্যাচজয়ী ওই পারফরম্যান্সের পরই বলেছেন, ‘আমি সব সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তুত থাকব। আমি এটি প্রকাশ্যে বলতে ভয় পাই না। হয়তো এমন সময় আসবে, সামনে টি-টোয়েন্টি আসবে এবং টেস্ট ক্রিকেটও থাকবে…কিন্তু আমি সব সময়ই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার জন্য থাকব, তা আমার কাছে যত টাকাই আসুক না কেন।’
এইচজেএস