বাংলাদেশি কোচের ‘শিষ্য’ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রানার-আপ
টেনিস বিশ্ব আজ (শনিবার) তাকিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নারী এককের ফাইনালের দিকে। এশিয়ার দৃষ্টি ছিল চীনের ঝেং’য়ের ওপর। লীনার পর দ্বিতীয় চাইনিজ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন ঝেং। বেলারুশের আরিয়ানা সাবালাঙ্কার সঙ্গে অবশ্য চাইনিজ ঝেং তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। দুই সেটেই টেনিসের অন্যতম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন সাবালাঙ্কা।
২১ বছর বয়সী ঝেং-য়ের সঙ্গে খানিকটা যোগসূত্র রয়েছে বাংলাদেশের। ২০১৩-১৮ সালে চীনের বেইজিংয়ের একটি টেনিস একাডেমিতে দীক্ষা নিতেন ঝেং। তার কোচ ছিলেন বাংলাদেশি আক্তার হোসেন। শুধু একাডেমিতে প্রশিক্ষণই নয়, ঝেং-য়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশেও ভ্রমণ করেছেন আক্তার। কয়েক বছর ঝেং আক্তারের তত্ত্বাবধানেই ছিলেন। সেই ঝেং এখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রানার-আপ। তাই চীন থেকে বেশ উচ্ছ্বাস ঝরল সাবেক কোচের কণ্ঠে, ‘এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। আমার এক সময়ের শিষ্য বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ গ্র্যান্ড স্ল্যামের রানার-আপ। আসলেই অসাধারণ অনুভূতি।’
ঝেং-য়ের আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার কৃতিত্ব ছিল আরেক চাইনিজ লীনার। ঝেং আজ সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। ঝেং-য়ের সাবেক কোচ আজকের ফাইনাল বিশ্লেষণ করলেন এভাবে, ‘সার্ভিসে তার কিছু ভুল ছিল। এতে অনেক পয়েন্ট হাতছাড়া হয়ে খেলার নিয়ন্ত্রণ প্রতিপক্ষের হাতে চলে যায়।’
১২তম বাছাই খেলোয়াড় হয়ে ঝেং অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে গিয়েছিলেন। রানার-আপ হওয়ায় এখন তার অবস্থান শীর্ষ দশের মধ্যে। টেনিস বিশ্বকে আগামীতে আরও চমক দেখাবেন ঝেং, সেই বিশ্বাস রয়েছে তার সাবেক কোচের, ‘ও উইম্বলডনে সেমিফাইনালে খেলেছে। স্বর্ণ জিতেছে এশিয়ান গেমসে। আগামীতে আরও পরিপক্ব হয়ে অনেক পদক জেতার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন
টেনিসে বয়স ও পারফরম্যান্সের সঙ্গে কোচের বদল হয়। কোচ নির্বাচনের বিষয়টি খেলোয়াড়ই করে থাকেন। গত কয়েক বছর ঝেং অন্য কোচের সঙ্গে কাজ করছেন। এখন অবশ্য ঝেং-য়ের সঙ্গে আক্তারের তেমন যোগাযোগ নেই বলেও জানান তিনি, ‘এখন তার খেলার পরিধি বেড়েছে ব্যাপক। আমার সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই যোগাযোগ নেই। তবে তার বাবা-মা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত নিয়মিত। নানা ব্যস্ততায় সেটাতেও ঘাটতি পড়েছে।’
টেনিস বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হলেও, বাংলাদেশে সেভাবে স্থান পায়নি। বাংলাদেশের অনেক টেনিস খেলোয়াড় দেশে ক্যারিয়ার সংকটের কারণে চীনমুখী হয়েছেন। ফলে বাংলাদেশের টেনিসের বড় বাজার গড়ে উঠেছে চীনে। সাংহাই, বেইজিং-সহ অনেক বড় শহরে বাংলাদেশি টেনিস কোচরা একাডেমিতে চাইনিজদের টেনিস শেখাচ্ছেন। নিজেরাও টেনিস একাডেমি দিয়েছেন অনেকে।
এজেড/এএইচএস