দলবদলে শেখ রাসেলই সবার চেয়ে আলাদা
১৭ এপ্রিল শেষ হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মধ্যবর্তী দলবদল। এক মাসের বেশি সময় চলা এই দলবদলে মোট ৪৮ জন ফুটবলার নিবন্ধিত হয়েছে। ৪৮ জন ফুটবলারের মধ্যে ২৬ জনই আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের। ব্রাদার্স ইউনিয়ন সর্বোচ্চ ১৪ জনকে এই সময়ে নিবন্ধন করিয়েছে। আরামবাগ করিয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ জন। ১৩ ক্লাবের মধ্যে ১২ ক্লাব মধ্যবর্তী দলবদলে অংশ নিয়েছে। একমাত্র শেখ রাসেল স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড কোনো ফুটবলারকে নিবন্ধন করায়নি এই সময়ের মধ্যে।
শেখ রাসেলের কোচ সাইফুল বারী টিটু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা লোকাল ফুটবলার নিতে চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে আর সেটা সম্ভব হয়নি। প্রথম লেগে নিবন্ধিত ফুটবলার নিয়েই দ্বিতীয় লেগে খেলব আমরা।’ শেখ রাসেল ক্লাব ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার বদল করতে চাইলেও চুক্তির জটিলতায় শেষ পর্যন্ত আর হয়নি।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের পরিচালক আমের খান দ্বিতীয় লেগে এত সংখ্যক ফুটবলার নিবন্ধনের কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা এবার সিনিয়র কয়েকজন (এমিলি, মিশু,আরিফ ও জিতু) নিয়েছি। পাশাপাশি নতুন কয়েকজন নিয়েছি। দ্বিতীয় লেগে আমরা ভালো অবস্থানে থাকতে চাই এজন্য এই প্রয়াস।’ ব্রাদার্স ও আরামবাগ রেলিগেশন জোনে। এজন্যই মূলত এই দুই ক্লাব ততোধিক ফুটবলারকে নিবন্ধন করিয়েছে। আরামবাগের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর এজাজ বলেন, ‘আমরা রেলিগেশন এড়াতে চাই। এজন্য শেষ চেষ্টা হিসেবে এই প্রয়াস।’ ৪৮ জন নিবন্ধিতের মধ্যে ১৩ জন বিদেশি আর বাকি ৩৫ জন দেশি।
বসুন্ধরা কিংস- ২ জন
ঢাকা আবাহনী- ১ জন
সাইফ স্পোর্টিং- ১ জন
আরামবাগ- ১২ জন
শেখ জামাল- ১জন
মুক্তিযোদ্ধা ৭ জন
চ. আবাহনী- ১ জন
মোহামেডান- ২ জন
রহমতগঞ্জ- ১জন
ব্রাদার্স - ১৪ জন
পুলিশ- ২ জন
উত্তর বারিধারা- ৪ জন
এজেড /এটি/এনইউ