ট্রিপল সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়লেন এক পাইলট
বেলজিয়ামে জন্ম আন্তম নাকভির। তবে পড়াশুনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। পেশায় একজন বানিজ্যিক পাইলট। তবে তার সঙ্গে ক্রিকেটটাও খেলেন। বেলজিয়ামে জন্ম হলেও ক্রিকেটের জন্যই পাড়ি জমিয়েছেন জিম্বাবুয়েতে। পেশাদার লিগে সুযোগ পেয়ে এবার ব্যাট হাতে গড়েছেন ইতিহাস। দেশটির প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে করেছেন ট্রিপল সেঞ্চুরি।
গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) হারারেতে লোগান কাপে মাটাবেলেল্যান্ড টাস্কার্সের বিপক্ষে মিড ওয়েস্ট রাইনোজের হয়ে নাকভি যখন ব্যাটিং করতে নামেন তখন তার রান ২৫০। একটু পরেই সেফাস ঝুয়াওয়ের ২৬৫ রানের রেকর্ড ভেঙে নিজের করে সেটি নেন। ২০১৭-১৮ সালে ২৬৫ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন সেফাস।
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ২৭৯ রানের। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার কুরি কাপে অপরাজিত ইনিংসটি খেলেছেন রে গ্রিপার। প্রতিনিধিত্বমূলক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ ইনিংসের কীর্তি ব্রায়ান ডেভিসনের ছিল ২৯৯। লোগান কাপে যখন তিনি ইনিংসটি খেলেছিলেন (১৯৭৩-৭৪) সালে তখন এই টুর্নামেন্টের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ছিল না।
তবে জিম্বাবুয়ের মাটিতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি নাকভি। ৪৪৪ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ২৯৫ বলে ৩০০ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৩০টি চার ও ১০ ছয়। ত্রিশতক হওয়ার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় মিড ওয়েস্ট রাইনোজ।
জিম্বাবুয়ে এ দলের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড এ দলের হয়ে ৩০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মার্ক রিচার্ডসন। ২০০০-০১ সালে এই ইনিংসটি খেলেছিলেন তিনি। যা এখনো দেশটির মাটিতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ড।
নাকভি দ্বিতীয় প্রবাসী ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ত্রিপল সেঞ্চুরি করলেন। এর আগে ১৯৩২ সালে পানামায় জন্ম নেওয়া জর্জ হেডলি জ্যামাইকার হয়ে অপরাজিত ৩৪৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
এইচজেএস