অটোচয়েজ নয়, স্ট্রাগল করেই খেলতে হয় : মেহেদী
আগের বছরটা বেশ ভালো কাটিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। ফলস্বরূপ সুযোগ পেয়েছিলেন ওয়ানডে বিশ্বকাপেও, যদিও খেলার সুযোগ পান কেবল ৩ ম্যাচে। এরপর নিউজিল্যান্ড সিরিজেও তিনি জাতীয় দলে ছিলেন। সবমিলিয়ে জাতীয় দলের মধ্যেই আছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। আসন্ন বিপিএলে খেলবেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে।
আজ (শনিবার) বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেহেদী। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি দলের অটোচয়েজ কি না। এরপর মেহেদী বলেন, ‘প্রথমত আমি অটো চয়েজের খেলোয়াড় না। আমার অনেক স্ট্রাগল করে খেলতে হয়। দেখা যাচ্ছে ১০-১৫ ম্যাচ পর একটা সুযোগ আসে, ওই সুযোগটা পেতে আমি মুখিয়ে থাকি। চেষ্টা করি, বাদ বাকি যা হওয়ার আল্লাহর ইচ্ছা।’
পাওয়ার প্লেতে নিজের বোলিং করা নিয়ে মেহেদী বলেন, ‘একজন বোলার হিসেবে নিজেকে যখন তৈরি করেছি তখন অভ্যাস আছে পাওয়ার প্লেতে বোলিং করার। এটা আমার কাছে ম্যাটার করে না।’
জাতীয় দলের সর্বশেষ সিরিজে কিউইদের মাটিতে ভালো করেছিলের মেহেদী। সেই অনুপ্রেরণা বিপিএলে কাজে লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনুপ্রাণিত তো প্রত্যেকটা ম্যাচেই আমার মনে হয়। ক্রিকেটে আপনি আজকে ভালো খেললেন, তেমনি পরদিনও ভালো খেলবেন সেই নিশ্চয়তা নেই। প্রত্যেকটা ম্যাচ এবং দিনই চ্যালেঞ্জিং। তো ওইভাবে নিজের চিন্তা করি, প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ওইভাবে চিন্তা করে। গত ম্যাচে আপনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ বা সিরিজ হয়েছেন, এই হিসেব করে কোনো খেলোয়াড়ই খেলে না। যেদিন যার থাকে সেদিনটা নিয়েই সে ব্যস্ত থাকে।’
উল্লেখ্য, আগামী ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে বিপিএলের দশম আসর ১ মার্চ ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে। ৭ দলের এই আসরে মোট ম্যাচ হবে ৪৬টি। টুর্নামেন্টটি হবে প্রায় দেড় মাস ব্যাপী। এবারের আসরে মেহেদীর দল রংপুরের আইকন প্লেয়ার হিসেবে আছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারের সমন্বয়ে তারা শক্তিশালী দল গড়েছে। যেখানে আছেন বাবর আজম, নিকোলাস পুরান, মাথিশা পাথিরানা, ব্রেন্ডন কিং কিংবা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার মতো তারকারা।
এসএইচ/এএইচএস