অজিদের ছোট লিড, শাহিনের জোড়া আঘাত
আগের দিনের ব্যাটিং বিপর্যয়টাই হয়ত পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মাঝে আক্ষেপ হয়ে থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রায় ২৮ বছর টেস্ট জেতা হয়নি তাদের। এমন অবস্থানে থেকেও মেলবোর্নে শুরুটা মন্দ হয়নি তাদের। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে রেখেছিল নাগালের মাঝেই। নিজেদের ব্যাটিং ইউনিট শুরুটাও করেছিল দারুণ। কিন্তু মাঝের ব্যাটিং ধসে বক্সিং ডে টেস্ট থেকে অনেকটাই ছিটকে গিয়েছে তারা।
মেলবোর্নের দ্বিতীয় দিনটা ছিল শুধুই বোলারদের। একদিনেই পতন ঘটে ১৩ উইকেটের। অস্ট্রেলিয়া হারায় নিজেদের শেষ ৭টি উইকেট। পাকিস্তান হারায় ছয়টি। তবে এরমাঝে সফরকারীদের আক্ষেপই বেশি। ৩১৮ রানের জবাবে খেলতে নেমে লিড নেয়ার সুযোগটাই যে হাতছাড়া করেছে তারা।
তৃতীয় দিন পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ২৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ৫৪ রানের ছোট এক লিড। তবে লাঞ্চ ব্রেকের আগে জোড়া আঘাতে অজিদেরও স্বস্তি দিলেন না পাকিস্তানের শাহীন আফ্রিদি। ফিরিয়েছেন দুই ইনফর্ম ব্যাটার উসমান খাজা আর মার্নাস ল্যাবুশেনকে। ৬০ রানের লিডেই অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে দুই উইকেট।
পাকিস্তান নিজেদের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ৬ উইকেটে ১৯৪ রান দিয়ে। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে নিজের আর দলের কোনো ইনিংসই ঠিক বড় করা হয়নি তার। আগের দিনের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে দলীয় স্কোর ২১ রান যোগ করতেই ফিরে যান তিনি। কামিন্সকে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে ওয়ার্নারের তালুবন্দী হয়েছেন তিনি। করেছেন ৪২ রান।
শাহিন আফ্রিদি ছিলেন খুনে মেজাজে। রান তোলার তাড়া ছিল। ২৮ বলে ৪ চারের মারে ২১ রান করেছেন। দলের স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা ছিল। আড়াইশ এর কাছাকাছি স্কোর নিয়ে ফেরেন সাজঘরে। নাথান লায়নের বলে এলবিডব্লিউ না হলে আরও খানিকটা ভরসা পেতে পারতো পাকিস্তান। ২৪০ রানে ৮ম উইকেটের পতন।
আমির জামাল বোলার হলেও খেলতে চেয়েছেন পারফেক্ট টেস্ট ইনিংস। ৮০ বলে ৩৩ রান করে ঠিক পথেই ছিলেন। কিন্তু অপরপাশে সঙ্গী কেউ ছিল না। পাকিস্তানও থেমেছে ২৬৪ রানে। অজিদের হয়ে ৫ উইকেট কামিন্সের। ৪ উইকেট লায়নের।
জেএ