আর্জেন্টাইন গার্নাচোর জোড়া গোলে অবিশ্বাস্য জয় ইউনাইটেডের
একটা লম্বা সময় পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিজেদের ভাগ্য বদলেছিল ‘ফার্গি টাইম’ এর উপর নির্ভর করে। ম্যাচের শেষের ১০ মিনিটে বহুবারই ফল নিজেদের পক্ষে টেনে এনেছিল ইউনাইটেড। সেসময়ের ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের নামের ভিত্তিতে এর নামই হয়ে যায় ‘ফার্গি টাইম’।
সাম্প্রতিক সময়ে এমন কিছুর অপেক্ষায় ছিলেন ম্যানচেস্টারের ভক্তরা। কিন্তু হতশ্রী দশার রেড ডেভিলরা শেষের দিকে যেন আরও নড়বড়ে। প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ ৩ ম্যাচে গোলই করতে পারেনি তারা। তবে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে বক্সিং ডের ফিক্সচারে ভক্তদের রোমাঞ্চকর এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে দলটি। আলেকজান্ডার গার্নাচো আর রসমুস হয়লুন্ডের গোলে অসাধারণ এক জয় তুলে নিয়েছে রেড ডেভিলরা।
অ্যাস্টন ভিলা ২ - ৩ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
বছরের শেষটা যতখানি নাটকীয় হওয়ার দরকার ছিল। ঠিক তততাই নাটকীয় করেছে অ্যাস্টন ভিলা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে সারপ্রাইজ প্যাকেজ হয়ে এসেছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা। সুযোগ ছিল ইউনাইটেডকে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে চলে যাওয়ার। তবে সেটা হয়নি গার্নাচো আর হয়লুন্ডের দুর্দান্ত এক কামব্যাকে।
আরও পড়ুন
ম্যাচের শুরুটা করেছিল ভিলাই। নিজস্ব ঢঙয়ের ফুটবলে এরিক টেন হাগের দলকে একেবারেই ছিটকে দেয় তারা। প্রথমার্ধ শেষের আগেই দুই গোলের লিড পায় ভিলা। ম্যাকগিনের ফ্রিকিকে নির্বিকার ছিলেন ওনানা। আর কর্নার থেকে লংলের মাথা ঘুরে আসা বল জালে পাঠান ডেনডনকার।
প্রথমার্ধে ম্যানচেস্টারের এমন হতশ্রী অবস্থা দেখে যারা টিভি বন্ধ করেছেন কিংবা স্টেডিয়াম ছেড়ে গিয়েছেন, তাদেরকেই যেন পরে একরাশ হতাশা উপহার দিলেন আর্জেন্টাইন তরুণ গার্নাচো আর হয়লুন্ড। তাদের ঝড়ে বিধ্বস্ত হলো ১০ ম্যাচ অপরাজিত থাকা অ্যাস্টন ভিলা।
ম্যাচের শেষ সেখানেই দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আর্জেন্টাইন তারকা গার্নাচোর মাথায় ছিল ভিন্ন কিছু। ম্যাচের বয়স তখন ৫৯ মিনিট। কাউন্টার অ্যাটাকে মার্কাস রাশফোর্ডের পা ঘুরে বল আসে লেফট উইংয়ে খেলা গার্নাচোর কাছে। এমি মার্টিনেজকে বোকা বানাতে সময় নেননি তিনি।
দ্বিতীয় গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ঠিক ঠিক ১২ মিনিট। এবারও গোলদাতা গার্নাচো। জটলার মাঝে বল পেয়েছিলেন। ভাসানো বলে শট নিতে সময়ক্ষেপণ করেননি। প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে দিক বদলালেও জালে ঠিকই জড়ায় তা। ম্যানচেস্টারের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে তখন কান পাতা দায়। গর্জনে ফেটে পড়েছে পুরো স্টেডিয়াম।
এরপরেই ৮২ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। কর্নার থেকে বল চলে আসে হয়লুন্ডের সামনে। প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম গোল পেয়ে যান সেখান থেকেই। ৩-২ গোলের লিড ইউনাইটেডের। শেষ পর্যন্ত ওটাই হয়ে যায় ম্যাচের ফলাফল। এই জয়ের পর ১৯ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে উঠলো ইউনাইটেড। আর ৩৯ পয়েন্টে আটকে থেকে শীর্ষে ওঠার সুযোগ হারাল অ্যাস্টন ভিলা।
জেএ