১৬৬ দিনের মধ্যে ভারতের টেস্ট জার্সি বদল
ছিল লাল, হয়ে গেল নীল। ভারতীয় দলের টেস্ট জার্সি বদলে গেল মঙ্গলবার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যে জার্সি পরে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের দেখা গেল তাতে বুকের মাঝে স্পন্সরের নাম লেখা নীল রঙে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলতি বছরের জুলাইয়ে ভারতীয় দলের জার্সিতে স্পন্সরের নাম লেখা ছিল টকটকে লাল রঙে। সেই জার্সি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ১৬৬ দিন পর ভারতীয় দলকে দেখা গেল লাল রং ছেড়ে নীল রঙে ফিরে আসতে।
২০১৯ সালের আগে পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ধবধবে সাদা জার্সি পরে নামতেন ক্রিকেটাররা। সেই জার্সিতে বুকের বাম দিকে সংশ্লিষ্ট দেশের লোগো থাকত। রং বলতে শুধু ওটুকুই। সময়ের দাবি মেনে চার বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৯ সালে সেই প্রথা থেকে কিছুটা সরে আসে আইসিসি। ঠিক হয়, সীমিত ওভারের ক্রিকেটের মতো টেস্টের জার্সিতেও সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের নাম এবং নম্বর থাকবে।
প্রতিটি দেশই সেই থেকে এই নিয়ম অনুসরণ করছে। রঙের ক্ষেত্রে কিছুটা ফারাক থাকে। কারো জার্সির পিঠে নাম এবং সংখ্যার রং কালো, কারো ক্ষেত্রে মেরুন, কারো আবার হালকা সবুজ। শুধু অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে বছরে একবার জার্সির রং বদলায়। সেটা অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বোলার গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রসের ক্যানসার সচেতনার প্রচারের জন্য। সেদিন গোলাপি রঙের ছোঁয়া থাকে জার্সিতে।
ভারত এত দিন গাঢ় নীল রঙের নাম ও নম্বর লেখা জার্সি পরেই নামত। হঠাৎই পুরো বিষয়টা বদলে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে। আমেরিকার একটি সংস্থা এখন ভারতীয় দলের কিট স্পন্সর। তারাই জার্সি তৈরির বরাত পেয়েছে। তাদের লোগোর রং অনুযায়ী ভারতের জার্সিতে এখন দেখা যাচ্ছে হালকা নীল রঙের আধিক্য। নাম এবং নম্বর তো বটেই, কাঁধের কাছে তিনটি ‘স্ট্রাইপ’ এবং কলারেও হালকা নীল রং দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বিতর্ক তৈরি জার্সির মূল স্পন্সরের লোগো নিয়ে। সেই সংস্থার নাম রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির জার্সির বুকে টকটকে লাল রঙে জ্বলজ্বল করছিল।
জার্সির বাকি অংশে যেখানে নীল রঙের আধিক্য, সেখানে বুকের কাছে এই লাল রং নিতান্তই বেমানান বলে মনে হচ্ছে অনেকের। রঙের মধ্যেই বৈপরীত্য রয়েছে। অতীতে ভারতের জার্সির স্পন্সর যারা ছিল, তাদের নামও বুকের কাছে বড় করে লেখা থাকত। কিন্তু জার্সির বাকি রঙের সঙ্গে সেটা মানানসই ছিল। দুটো বিপরীত রং ছিল না। সেই লাল এ বার বদলে নীল হয়ে গেল। জার্সির বাকি নীল রঙের সঙ্গে মানানসই হলো।
সূত্র : আনন্দবাজার
জেডএস