ফিল্ডিং হতাশা ভুলে অজিদের অল্পেই বেঁধে রাখল পাকিস্তান
আগের দিনের শুরুটাই পাকিস্তানের ছিল ক্যাচ ড্রপের মধ্য দিয়ে। দলীয় ৬ আর ব্যক্তিগত ২ রানে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলে দেন আব্দুল্লাহ শফিক। সেই ধারা অব্যহত থাকল ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। শুন্য রানেই জশ হ্যাজেলউডকে প্যাভিলিয়নে পাঠাতে পারতেন আমির জামাল। কিন্তু সেই ফার্স্ট স্লিপেই এবার তালুবন্দী বল মাটি স্পর্শ করিয়েছেন অধিনায়ক শান মাসুদ।
অবশ্য এসবের কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়তে পারেনি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্ন টেস্টে সফরকারী পেসাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই অজিরা অলআউট হয়েছে ৩১৮ রানে। টেস্টের সাপেক্ষে যা বেশ সহনীয় বলা চলে। দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চের সময়টা তাই দুই দলই আছে সন্তোষজনক পর্যায়ে।
আগের দিনের ১৮৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন মার্নাস ল্যাবুশেন এবং ট্রাভিস হেড। দুজনের জুটি যোগ করলো আরও ১৭ রান। ২০৪ রানেই ৪র্থ উইকেটের পতন। উইকেটশিকারী শাহিন আফ্রিদি। আর সাজঘরে ফিরেছেন ট্রাভিস হেড। তার ফেরার পর আরও খানিকটা সময় ক্রিজে ছিলেন ল্যাবুশেন। পেয়েছেন অর্ধশতকের দেখা। পারফেক্ট টেস্ট মেজাজের ইনিংসে লাগাম টেনেছেন আমির জামাল।
পার্থ টেস্টে অভিষেকে নজর কেড়েছিলেন এই পেসার। মেলবোর্নেও রাখলেন প্রতিভার ছাপ। ল্যাবুশেন ফিরলেন তার দারুণ ডেলিভারিতে। বলটা খেলতে বাধ্যই হয়েছিলেন এই ব্যাটার। ক্যাচ চলে যায় প্রথম স্লিপে। এরপর অ্যালেক্স ক্যারি ফিরেছেন উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের অসাধারণ ক্যাচে। চার রানেই তাকে সাজঘরে পাঠান শাহিন আফ্রিদি।
তবে ক্রিজে ছিলেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। স্কোরটাকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন তিনি ঠিকই। দুই মিচেলকে পরে ফিরিয়েছেন আরেক নতুন মুখ মীর হামজা। প্রথমে মিচেল স্টার্ক আউট হয়েছেন আঘা সালমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। আর আমির জামালকে ক্যাচ দিয়েছেন মিচেল মার্শ। ৪১ রান করে মার্শ যখন ফিরেছেন, তখন অজিদের স্কোর ৮ উইকেটে ২৮৬।
সেখান থেকে স্কোর ৩০০ পার করালেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স আর নাথান লায়ন। শেষের দুই উইকেট পেয়েছেন জামাল। তবে ততক্ষণে ৩১৮ রান স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
জেএ