স্টার্ক-কামিন্সের রেকর্ড দামে আপত্তি ডি ভিলিয়ার্সের
আইপিএলের আসন্ন আসরের আগে গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে মিনি নিলাম। যেখানে সর্বোচ্চ দাম পাওয়া দুই ক্রিকেটারই অস্ট্রেলিয়ার। প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্কের দুজনেই পারিশ্রমিক পাবেন ২০ কোটি রুপির বেশি করে। এই দুই অজির মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স।
এবারের নিলামে দুবার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড হয়েছে। শুরুতে স্যাম কারানের রেকর্ড ভেঙে ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে হায়দরাবাদে যান প্যাট কামিন্স। ঘন্টা দুয়েক পরই সেই রেকর্ড ভেঙে দেন মিচেল স্টার্ক। এই পেসারকে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কিনেছে কলকাতা। যা আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।
ডি ভিলিয়ার্স বলেন, 'মুম্বাই খুবই স্মার্ট কেনাকাটা করেছে। মুম্বাই, চেন্নাই এবং অন্য যে দলগুলো আইপিএলে ভালো করে, তাদের কেনাকাটাও ভালোই হয়ে থাকে। তারা ভেবেচিন্তেই কেনে, আবেগ দিয়ে কেনে না। কামিন্স ও স্টার্ক, দুজনই অবিশ্বাস্য ভালো বোলার। তবে সত্যিটা হচ্ছে, এতটা দামের কি? এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে এবারের নিলামে ফাস্ট বোলারদের চাহিদা কত বেশি ছিল। দাম শুধু বাড়তেই থাকল।’
দুই অজি পেসারের রেকর্ড গড়া দামে বিস্মিত গিলেস্পিও। তিনি বলেন, 'প্যাট অবশ্যই ভালো মানের বোলার, ভালো মানের নেতাও, যা আমরা এরই মধ্যে দেখেছি। তবে টি–টোয়েন্টি ওর সেরা সংস্করণ নয়। তাকে আমি টেস্ট বোলারই মনে করি। টেস্ট ক্রিকেটই তার আসল জায়গা।'
আইপিএলের ২০২০ আসরের আগে কলকাতা কামিন্সকে ১৫ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কিনেছিল। এবার সেটি আরও ৫ কোটি বেড়ে গেছে। গিলেস্পির মতে দামটা বেশিই হয়ে গেছে, ‘সে ভালো টি–টোয়েন্টি বোলার। ভুল করে না। কিন্তু আমার চোখে এটা (দাম) অনেক বেশি হয়ে গেছে।’
গিলেস্পির একই মন্তব্য স্টার্কের জন্যও, ‘দুর্দান্ত কেনাকাটা হয়েছে। প্রচুর টাকা। আমরা সবাই মানি, আইপিএল বিত্তশালী এক টুর্নামেন্ট। আমি মিচের জন্য খুবই খুশি। ওর যে দাম উঠেছে, তাতে একজন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এবং বাঁহাতি সুইং বোলারের কী গুরুত্ব, সেটা ফুটে উঠেছে।’
এইচজেএস