কার্ড নিয়ে অভিযোগ নেই অস্কারের
বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের ক্ষত এখনও শুকায়নি। ভারতের ওড়িষায় রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। আজ (সোমবার) গোপালগঞ্জে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালেও কিংস দ্বিতীয়ার্ধে দশ জনের দলে পরিণত হয়।
ওড়িষায় দশ জনের দল নিয়ে হেরেছিল কিংস। তবে গোপালগঞ্জে আজ স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে হারতে হয়নি। এক সপ্তাহের মধ্যে দুই পর্যায়ের খেলায় ভিন্ন দুটি ফলাফল। এই সম্পর্কে কিংস কোচ অস্কার ব্রুজন বলেন, ‘ওই ম্যাচে গফুরভ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিল। ওই ম্যাচে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ডোরিয়েল্টনও। আজ সেরকম একটা সুযোগে গোল পাওয়ায় জয় সম্ভব হয়েছে।’
ওড়িষায় গফুরভকে দেখানো লাল কার্ডে সমালোচনা করেছিলেন সবাই। বিশেষ করে কোচ অস্কার ব্রুজন সেই ম্যাচের রেফারিংয়ের জন্য এএফসিকে তদন্ত করতে বলেছিলেন। আজকের লাল কার্ড নিয়ে অবশ্য রেফারিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাননি এই স্প্যানিশ, ‘রফিকের ফাউলটিতে এরকম কার্ড হতেই পারে।’
তবে কোচের অভিযোগ না থাকলেও রাকিবের খানিকটা অনুযোগ রয়েছে, ‘আমাদের রফিককে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। তাদের খেলোয়াড়ও ফাউল করেছিল। তাকে কিছুই দেখানো হয়নি।’
গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপের ফাইনাল কাভার করতে ঢাকা থেকে এসেছিলেন বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় মিডিয়ার সাংবাদিকরা। স্টেডিয়ামের তৃতীয় তলার ছাদে দুটি টেবিল ছিল সাংবাদিকদের জন্য। ঢাকা থেকে আগত ও স্থানীয় উভয় সাংবাদিকদের জন্য ছিল মাত্র দুটি টেবিল। জায়গা না থাকায় অনেকে ল্যাপটপ খুলতেই পারেননি। অনেকে ল্যাপটপ খুললেও ছিল না চার্জিংয়ের ব্যবস্থা।
সাংবাদিকদের কাজ করতে প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে সেই সুবিধাটিও ছিল না। ম্যাচের পর দর্শক, খেলোয়াড়রা স্টেডিয়াম ছাড়লেও সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী রিপোর্ট শেষ করতে সময় লাগে। শীতের দিন দ্রুত দিনের আলো কমে, সন্ধ্যা নামে। ছাদে বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় অন্ধকারেই কাজ করতে হয়েছে সাংবাদিকদের।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান। ছিলেন বাফুফের শীর্ষস্থানীয় কোনো কর্মকর্তা। বাফুফে ২ নির্বাহী সদস্য ইলিয়াস হোসেন ও মহিদুর রহমান মিরাজ এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। সাবেক জাতীয় অধিনায়ক ও ফেডারেশনের সদস্য ইলিয়াস হোসেন গোপালগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও। ফাইনালে সাংবাদিকদের ভোগান্তি নিয়ে ইলিয়াসের মন্তব্য, ‘এখানে প্রথম (ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ স্তরের) কোনো ফাইনাল ম্যাচ হয়েছে। ফাইনাল আয়োজনের অভিজ্ঞতা না থাকায় এমনটা হয়েছে। সামনে এর পুনরাবৃত্তি হবে না।’
এজেড/এএইচএস