আবাহনীকে উড়িয়ে ফাইনালে কিংস
দুই অর্ধে দুই চিত্র। স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে কিংস অ্যারেনায় বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনীর প্রথমার্ধ ছিল অত্যন্ত উপভোগ্য এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে এর সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র দেখা যায়। বসুন্ধরা কিংস আবাহনীর জালে চার বার বল পাঠিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে। ১৮ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জে মোহামেডানের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে কিংস।
প্রথমার্ধের আবাহনীকে দ্বিতীয়ার্ধে পাওয়া যায়নি একেবারেই। প্রথম দুটি গোল হজম হয়েছে আবাহনীর ফুটবলারদের ভুলেই। ম্যাচের শেষের দিকে আরেকটি পেনাল্টি উপহার দিয়ে ০-৪ গোলে হারে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটি। বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে এটি সবচেয়ে বাজে হার আবাহনীর।
৪৮ মিনিটে কিংসের গোলযাত্রা শুরু। ব্রাজিলিয়ান মিগেলের সঙ্গে ওয়ান টু খেলে বক্সে ঢুকে বা পায়ের দারুণ এক শটে মোহাম্মদ সোহেল রানা গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। কিংস বলটি পেয়েছিল আবাহনীর ফুটবলারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে। ৫৩ মিনিটে ইরানি ফুটবলার মিলাদ শেখের ভুল পাসে রাকিব কয়েকজন কাটিয়ে ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েল্টনকে দেন। প্লেসিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাজিলিয়ান।
৭৭ মিনিটে কিংস তিন গোলে এগিয়ে যায়। সাদ উদ্দিনের ক্রসে মিগেল ফাঁকায় দারুণ হেডে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে পেনাল্টি পায় কিংস। আবাহনীর ফুটবলাররা পেনাল্টি বাতিলের জন্য আবেদন করছিল অনেকক্ষণ। যদিও রেফারি আলমগীর নিজ সিদ্ধান্তে ছিলেন অনড়। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রবিনহো সহজেই দলকে ৪-০ গোলে জয় নিশ্চিত করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে এমন চিত্র থাকলেও প্রথমার্ধ ছিল অনেকটা আবাহনী নির্ভরই। ৪ মিনিটে আবাহনী প্রথম সুযোগ পায়। ওয়াশিংটন প্রায় ৪০ গজ বল টেনে নিয়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শট নিলেও তা প্রায় পোস্ট ঘেঁষে যায়। ১০ মিনিটে কিংসের অধিনায়ক রবিনহোর শট গোলকিপার পাপ্পু হোসেন এক হাত উঁচিয়ে কোনোমতে রক্ষা করেন। ১৬ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বোবুরবেককে টপকে ওয়াশিংটন বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিয়েছিলেন তবে গোলরক্ষক শ্রাবন সেভ করেন। কিংসের গোলরক্ষক দুর্দান্ত খেলেন। ২৪ মিনিটে এমেকা ওগবাগ বক্সের বাইরে থেকে জায়গা করে নিয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন তবে গোলকিপার শ্রাবনও দারুণভাবে তা রুখে দেন। ২১ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে এক ভুল পাসে শেখ মোরসালিন পেয়ে আগুয়ান গোলকিপার পাপ্পুকে কাটিয়ে শট নিলেও আবাহনীর জোনাথন দৌড়ে গিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন।
শুক্রবার ছুটির দিনও কিংস অ্যারেনায় খেলা দেখতে এসেছিলেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। বসুন্ধরা কিংস এএফসি কাপে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে হারায় এর প্রতিবাদ হিসেবে দর্শকরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ডও এনেছিলেন।
এজেড/এমজে